গরমে শিশুর যত্ন
সাহানা আলম
সময়টা এখন গ্রীষ্মকাল। প্রচণ্ড গরমে অস্থির চারদিক। প্রকৃতির কোথাও নেই শীতলতার ছোঁয়া। বৃষ্টি যা হয় তাও ক্ষণস্থায়ী। অসম্ভব এ গরমে সবচেয়ে অসহায় হয়ে পড়ে শিশুরা। কারণ, তারা কোনোভাবেই বোঝাতে পারে না তাদের অসুবিধার কথা। তাই শিশুদের ব্যাপারে বুদ্ধি খাটাতে হবে বড়দেরই। প্রথমেই আসে শিশুর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার ব্যাপার। এ সময় শিশুকে প্রতিদিনই গোসল করাতে হবে। ঠাণ্ডা বা সর্দি-কাশি হবে—এ ভয়ে অনেক বাবা-মা’ই সন্তানকে গোসল করাতে চান না। কিন্তু প্রচণ্ড গরমে শরীরে যে ঘাম হয় তা জমে গিয়ে আরও অসুখ-বিসুখের সম্ভাবনা থাকে। গোসলের সময় শিশুর গায়ে সাবান দিয়ে ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে। তবে শ্যাম্পু বেশি ব্যবহার না করাই ভালো, সপ্তাহে দু’দিনই যথেষ্ট। গোসলের পর শিশুর শরীর ও মাথা ভালো করে মুছে দিয়ে পাউডার লাগানো ভালো। এতে করে ঘামাচির যন্ত্রণা থেকে শিশু থাকবে নিরাপদ। এক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে, শিশুর যে প্রসাধনী সামগ্রী তা যেন অবশ্যই ভালো কোনো কোম্পানির হয়।
শিশুর খাওয়া-দাওয়ার ব্যাপারেও এ সময় অভিভাবকদের সচেতন হতে হবে। শিশুদের এ সময় এমন খাবার দিতে হবে, যা একই সঙ্গে পুষ্টি জোগাবে এবং শরীরকে ঠাণ্ডা রাখবে। অন্যান্য খাবারের সঙ্গে এ সময় শিশুকে দেয়া যেতে পারে নানারকম ফলের রস, যেমন—মোসাম্বি, বেদেনা, আম ও কমলা ইত্যাদি। বাইরের যে কোনো খাবারে শিশুর স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর—এটা সবসময় খেয়াল রাখতে হবে। এছাড়াও দেয়া যেতে পারে খাওয়ার স্যালাইন, যা এই দুঃসহ গরমে শিশুর দুর্বলতা কাটাতে সাহায্য করবে, পাশাপাশি তৃষ্ণাও মেটাবে।
অনেক বাবা-মা’ই আছেন যারা সন্তানদের চুল বড় রাখতে পছন্দ করেন। যাদের শখটা এমন তারা যেন এ শখটা পূরণ করেন শীতকালে—এটাই অনুরোধ। কেননা গরমে শিশুর মাথা ঘেমে যায়, চুল বড় থাকলে তা শুকাতে সময় লাগে। ফলে শিশুর ঠাণ্ডা লেগে সর্দি-কাশি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই এ সময় শিশুর চুল ছোট করে ছেঁটে রাখলেই সে আরামবোধ করবে।
গরমে শিশুরা সবচেয়ে বেশি কষ্ট পায় পোশাক থেকে। শিশুর জন্য সুতির পাতলা, খোলামেলা জামা-কাপড়ই উপযুক্ত। অতিরিক্ত কারুকাজ করা, জাবরজং পোশাক শিশুকে গরমে আরও বেশি অতিষ্ঠ করে তুলবে। এ সময় শিশুকে জুতা-মোজা না পরিয়ে হালকা স্যান্ডেল সু পরানোই ভালো।
শিশুর ঘুমানোর জায়গাটা যেন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন এবং আলো-বাতাসপূর্ণ হয়। কেননা পরিপূর্ণ ঘুম না হলে গরমের বিরক্তির সঙ্গে অনিদ্রার বিরক্তিও যোগ হবে। তবে শিশুকে কখনোই সরাসরি ফ্যানের নিচে রাখা উচিত নয়। আর ঘরে যদি এসি চলে তার তাপমাত্রা যেন ২৪হ্ন-এর নিচে না নামে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। না হলে শিশুর শ্বাসকষ্টের সম্ভাবনা দেখা দিতে পারে।
শিশুর খাওয়া-দাওয়ার ব্যাপারেও এ সময় অভিভাবকদের সচেতন হতে হবে। শিশুদের এ সময় এমন খাবার দিতে হবে, যা একই সঙ্গে পুষ্টি জোগাবে এবং শরীরকে ঠাণ্ডা রাখবে। অন্যান্য খাবারের সঙ্গে এ সময় শিশুকে দেয়া যেতে পারে নানারকম ফলের রস, যেমন—মোসাম্বি, বেদেনা, আম ও কমলা ইত্যাদি। বাইরের যে কোনো খাবারে শিশুর স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর—এটা সবসময় খেয়াল রাখতে হবে। এছাড়াও দেয়া যেতে পারে খাওয়ার স্যালাইন, যা এই দুঃসহ গরমে শিশুর দুর্বলতা কাটাতে সাহায্য করবে, পাশাপাশি তৃষ্ণাও মেটাবে।
অনেক বাবা-মা’ই আছেন যারা সন্তানদের চুল বড় রাখতে পছন্দ করেন। যাদের শখটা এমন তারা যেন এ শখটা পূরণ করেন শীতকালে—এটাই অনুরোধ। কেননা গরমে শিশুর মাথা ঘেমে যায়, চুল বড় থাকলে তা শুকাতে সময় লাগে। ফলে শিশুর ঠাণ্ডা লেগে সর্দি-কাশি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই এ সময় শিশুর চুল ছোট করে ছেঁটে রাখলেই সে আরামবোধ করবে।
গরমে শিশুরা সবচেয়ে বেশি কষ্ট পায় পোশাক থেকে। শিশুর জন্য সুতির পাতলা, খোলামেলা জামা-কাপড়ই উপযুক্ত। অতিরিক্ত কারুকাজ করা, জাবরজং পোশাক শিশুকে গরমে আরও বেশি অতিষ্ঠ করে তুলবে। এ সময় শিশুকে জুতা-মোজা না পরিয়ে হালকা স্যান্ডেল সু পরানোই ভালো।
শিশুর ঘুমানোর জায়গাটা যেন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন এবং আলো-বাতাসপূর্ণ হয়। কেননা পরিপূর্ণ ঘুম না হলে গরমের বিরক্তির সঙ্গে অনিদ্রার বিরক্তিও যোগ হবে। তবে শিশুকে কখনোই সরাসরি ফ্যানের নিচে রাখা উচিত নয়। আর ঘরে যদি এসি চলে তার তাপমাত্রা যেন ২৪হ্ন-এর নিচে না নামে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। না হলে শিশুর শ্বাসকষ্টের সম্ভাবনা দেখা দিতে পারে।
No comments:
Post a Comment