গরমকে গুডবাই
জৈষ্ঠ্যের কাঠফাটা রোদ পুড়িয়ে দিচ্ছে প্রকৃতির সবকিছু। ঘরের বাইরে এক পা দিলেই অনুভূত হয় প্রচণ্ড গরমের তীব্রতা। তবে বাড়িতে বসে থাকলেও যে এই গরমের হাত থেকে রেহাই মিলবে সে চিন্তা মোটেই করা চলবে না। ঘরে কী বাইরে, রাতে কী দিনে, যেখানে যখনই হোক না কেন এই ভ্যাপসা গরম সবারই সহ্য করতে হবে। যাদের কিছুটা সামর্থ্য আছে তারা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বাড়ি-গাড়িতে থেকে গরমের ভয়াবহতা থেকে কিছুটা হলেও স্বস্তিতে থাকেন। কিন্তু যাদের সেই সৌভাগ্যটুকু নেই তারা কি সবকিছু বাদ দিয়ে গরমের ভয়ে পালিয়ে থাকবেন? না, তা হবে কেন? বরং দৈনন্দিন জীবনের চলাফেরা, খাওয়া-দাওয়া, পোশাক-আশাক, সাজগোজ এমন হবে যেন গরম তাদের কাবু করতে না পারে। বরং গরমকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েও থাকা যাবে সুস্থ, সুন্দর।
কেমন হবে গরমের মোকাবিলায় আমাদের চলাফেরা? জেনে নেই সে বিষয়ে কিছুটা বিস্তারিত।
ভোরে ঘুম থেকে উঠেই গোসলের পর্বটা সেরে ফেলুন। গরমকে গুডবাই জানাতে এই টনিকের জুড়ি নেই। এছাড়াও সম্ভব হলে দিনে-রাতে আরও দু-তিনবার এই কাজটি করতে পারেন, যদি পানির কোনো দুর্ভোগ না থাকে। কেননা এখন তো চলছে পানির জন্য চারিদিকে হাহাকার। বাসায় থাকুন কী অফিসে, কিংবা শপিংয়ে এক দু-ঘণ্টা পরপর মুখে ও ঘাড়ে ঠাণ্ডা পানির ঝাপটা দিন, গরম কিছুটা হলেও কম লাগবে। অথবা বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় লেবুপানি পান করে বের হলেও গরমের তীব্রতা কম অনুভূত হয়।
গরমে খাওয়া-দাওয়াও কিন্তু একটা বড় বিষয়। এ সময় এমন কিছু খাওয়া ঠিক হবে না যেগুলো শরীরকে ঠাণ্ডা না রেখে বরং গরম আরও বাড়িয়ে দেয়। যেমন—অতিরিক্ত ঝাল-মসলার খাবার, চা-কফি, ফাস্টফুড, চর্বিজাতীয় খাবার যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলাই ভালো; বরং খাওয়া যেতে পারে নানারকম মৌসুমি ফল, টাটকা শাক-সবজি, ফলের রস—সঙ্গে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে। এ সময়টাতে ভাতের পরিবর্তে রুটি শরীরে কিছুটা স্বস্তি যোগাবে।
এ সময়ে যে বিষয়টি নিয়ে বেশি মুশকিলে পড়তে হয় তা হলো পোশাক-পরিচ্ছদ। যে পোশাকই পরা হোক না কেন স্বস্তি যেন কোনো কিছুতেই মেলে না। গরমের জন্য সুতির পোশাকের কোনো বিকল্প নেই। মেয়েরা যারা সব সময় সালোয়ার-কামিজ পরে থাকেন তারা বেছে নিতে পারেন হালকা সব রং। বিভিন্ন হালকা প্রিন্টের কামিজের সঙ্গে একরঙা সালোয়ার-ওড়না গরমের জন্য খুবই উপযোগী। তবে তা যেন একশ’ ভাগ সুতি হয়, সেদিকে নজর দেয়াটা জরুরি। শাড়ি পরতে চাইলে টাঙ্গাইল, জামদানি ও শিপন শাড়িই এ সময়ের জন্য ফিট—সিল্ক, মসলিন শাড়িগুলো না হয় তোলা থাক ঠাণ্ডা আবহাওয়ার জন্য। আর যদি অভ্যস্ত হন ফতুয়া-জিন্সে তাহলে তো আর কোনো সমস্যাই নেই! সুতির ফতুয়ার সঙ্গে জিন্সের প্যান্টের চেয়ে আরামের পোশাক আর কি হতে পারে।
গরমে সাজগোজটা যতটা সম্ভব কম হওয়াটাই ভালো। দিনের বেলা হালকা পাউডারের সঙ্গে চোখে কাজলের টান আর ঠোঁটে ন্যাচারাল কালারের লিপগ্লসই যথেষ্ট। গহনা হিসেবে কানে ছোট্ট দুল আর হাতে একটি বালা কিংবা ঘড়িতেই অনেক প্রাণবন্ত আর স্মার্ট লাগবে। পায়ের জুতোটা না পরে কোলাপুরি বা সাদামাটা চাটটাই মানানসই।
ও হো, ছেলেদের কি সমস্যায় পড়তে হয় না এসব নিয়ে? অবশ্যই—কিন্তু গরম বলে কথা, স্বস্তিতে তো থাকতে হবে। স্কুল-কলেজ-অফিসে তো নির্ধারিত পোশাকে যেতে হবে। এর বাইরে পরতে পারেন জিন্স—সঙ্গে ফতুয়া বা শর্ট পাঞ্জাবি, আর পায়ে স্যান্ডেল, ব্যস গরমের জন্য এই-ই যথেষ্ট।
আসলে গরমের ভয়াবহতা যতই তীব্র হোক না কেন তাকে মোকাবিলা করার হাতিয়ার কিন্তু আপনার কাছেই। প্রয়োজনে কিছুটা নিয়মকানুন মেনে চলুন—তাহলেই নো চিন্তা ডু ফুর্তি।
কেমন হবে গরমের মোকাবিলায় আমাদের চলাফেরা? জেনে নেই সে বিষয়ে কিছুটা বিস্তারিত।
ভোরে ঘুম থেকে উঠেই গোসলের পর্বটা সেরে ফেলুন। গরমকে গুডবাই জানাতে এই টনিকের জুড়ি নেই। এছাড়াও সম্ভব হলে দিনে-রাতে আরও দু-তিনবার এই কাজটি করতে পারেন, যদি পানির কোনো দুর্ভোগ না থাকে। কেননা এখন তো চলছে পানির জন্য চারিদিকে হাহাকার। বাসায় থাকুন কী অফিসে, কিংবা শপিংয়ে এক দু-ঘণ্টা পরপর মুখে ও ঘাড়ে ঠাণ্ডা পানির ঝাপটা দিন, গরম কিছুটা হলেও কম লাগবে। অথবা বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় লেবুপানি পান করে বের হলেও গরমের তীব্রতা কম অনুভূত হয়।
গরমে খাওয়া-দাওয়াও কিন্তু একটা বড় বিষয়। এ সময় এমন কিছু খাওয়া ঠিক হবে না যেগুলো শরীরকে ঠাণ্ডা না রেখে বরং গরম আরও বাড়িয়ে দেয়। যেমন—অতিরিক্ত ঝাল-মসলার খাবার, চা-কফি, ফাস্টফুড, চর্বিজাতীয় খাবার যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলাই ভালো; বরং খাওয়া যেতে পারে নানারকম মৌসুমি ফল, টাটকা শাক-সবজি, ফলের রস—সঙ্গে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে। এ সময়টাতে ভাতের পরিবর্তে রুটি শরীরে কিছুটা স্বস্তি যোগাবে।
এ সময়ে যে বিষয়টি নিয়ে বেশি মুশকিলে পড়তে হয় তা হলো পোশাক-পরিচ্ছদ। যে পোশাকই পরা হোক না কেন স্বস্তি যেন কোনো কিছুতেই মেলে না। গরমের জন্য সুতির পোশাকের কোনো বিকল্প নেই। মেয়েরা যারা সব সময় সালোয়ার-কামিজ পরে থাকেন তারা বেছে নিতে পারেন হালকা সব রং। বিভিন্ন হালকা প্রিন্টের কামিজের সঙ্গে একরঙা সালোয়ার-ওড়না গরমের জন্য খুবই উপযোগী। তবে তা যেন একশ’ ভাগ সুতি হয়, সেদিকে নজর দেয়াটা জরুরি। শাড়ি পরতে চাইলে টাঙ্গাইল, জামদানি ও শিপন শাড়িই এ সময়ের জন্য ফিট—সিল্ক, মসলিন শাড়িগুলো না হয় তোলা থাক ঠাণ্ডা আবহাওয়ার জন্য। আর যদি অভ্যস্ত হন ফতুয়া-জিন্সে তাহলে তো আর কোনো সমস্যাই নেই! সুতির ফতুয়ার সঙ্গে জিন্সের প্যান্টের চেয়ে আরামের পোশাক আর কি হতে পারে।
গরমে সাজগোজটা যতটা সম্ভব কম হওয়াটাই ভালো। দিনের বেলা হালকা পাউডারের সঙ্গে চোখে কাজলের টান আর ঠোঁটে ন্যাচারাল কালারের লিপগ্লসই যথেষ্ট। গহনা হিসেবে কানে ছোট্ট দুল আর হাতে একটি বালা কিংবা ঘড়িতেই অনেক প্রাণবন্ত আর স্মার্ট লাগবে। পায়ের জুতোটা না পরে কোলাপুরি বা সাদামাটা চাটটাই মানানসই।
ও হো, ছেলেদের কি সমস্যায় পড়তে হয় না এসব নিয়ে? অবশ্যই—কিন্তু গরম বলে কথা, স্বস্তিতে তো থাকতে হবে। স্কুল-কলেজ-অফিসে তো নির্ধারিত পোশাকে যেতে হবে। এর বাইরে পরতে পারেন জিন্স—সঙ্গে ফতুয়া বা শর্ট পাঞ্জাবি, আর পায়ে স্যান্ডেল, ব্যস গরমের জন্য এই-ই যথেষ্ট।
আসলে গরমের ভয়াবহতা যতই তীব্র হোক না কেন তাকে মোকাবিলা করার হাতিয়ার কিন্তু আপনার কাছেই। প্রয়োজনে কিছুটা নিয়মকানুন মেনে চলুন—তাহলেই নো চিন্তা ডু ফুর্তি।
No comments:
Post a Comment