থার্মোমিটারে কিভাবে জ্বর মাপতে হয়?
এখন ডিজিটাল থার্মোমিটার আছে, তাতে শরীরের তাপমাত্রা অক্ষর হিসাবে ফুটে ওঠে। তবে পারদের থার্মোমিটারের ব্যবহার এখনো বেশি। তা ছাড়া শরীরের কোন স্থানের তাপমাত্রা মাপতে হয় সেটাও অনেকেই জানি না। শুধু জ্বর মাপার জন্য নয়, অন্যান্য অসুখ-বিসুখেও শরীরের তাপমাত্রার চার্ট চিকিৎসার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
সাধারণত মুখের ভেতরের তাপমাত্রা মেপেই শরীরের তাপমাত্রা কত আছে তা ঠিক করা হয়। সে ক্ষেত্রে থার্মোমিটারের বাল্ব (যার ভেতর পারদ থাকে) অংশটি জিহ্বার নিচে কমপক্ষে তিন মিনিট রাখতে হয়। এরপর বের করে এনে রিডিং দেখতে হয়।
তবে সব সময় মুখের ভেতরের তাপমাত্রা দেখা সম্ভব হয় না। যেমন_শিশুদের ক্ষেত্রে, অজ্ঞান ব্যক্তির ক্ষেত্রে, মুখমণ্ডলে আঘাত পাওয়া ব্যক্তির ক্ষেত্রে পায়ুপথের তাপমাত্রা দেখাটা বেশি কার্যকর। পায়ুপথে তাপমাত্রা পরিমাপ করা একটু জটিল।
থার্মোমিটারের বাল্বটিতে জেলি বা পেট্রোলিয়াম জেলি বা সামান্য তেল দিতে হয়। এরপর থার্মোমিটারের বাল্বের দিকটি আধা ইঞ্চি পরিমাণ পায়ুপথে প্রবেশ করাতে হয়। তিন মিনিট পর বের করে রিডিং দেখতে হয়।
অনেকেই বগলতলায় থার্মোমিটার রেখে তাপমাত্রা পরিমাপ করেন। কিন্তু এ পদ্ধতিতে সাধারণত সঠিক রিডিং আসে না। যদি বগলতলা ব্যতীত অন্যত্র পরিমাপ করা সম্ভব না হয়, তবে বগলতলায় পাঁচ মিনিট থার্মোমিটার রেখে তাপমাত্রা মাপুন এবং রিডিংয়ের সঙ্গে এক ডিগ্রি যোগ করুন।
জেনে রাখা ভালো
তিন মাসের কম বয়সী শিশুদের পায়ুপথের তাপমাত্রা কোনো কারণ ছাড়াই বা কোনো অসুস্থতা ছাড়াই ১০০ ডিগ্রির ওপর থাকতে পারে।
তিন মাসের বেশি বয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে এ তাপমাত্রা ১০২ ডিগ্রি পর্যন্ত হতে পারে।
এই মাত্র জন্মগ্রহণ করা শিশুদের পায়ুপথের তাপমাত্রা ৯৭ ডিগ্রি বা এর কমও হতে পারে।
ডা. হাবিবুর রহমান
ডিএমসিএইচ, ঢাকা
বাংলা কবিতা বিষয়ে আমার ওয়েবসাইট ও ব্লগ সমূহের এড্রেস এবং অন্যান্য
-
আমার তৈরী করা বাংলা কবিতা বিষয়ে ওয়েবসাইট ও ব্লগ সমূহের এড্রেস নীচে দেয়া হল:
১) www.banglapoetry.xyz ২) http://mypoembd.blogspot.com ৩)
http://haikuall.b...
No comments:
Post a Comment