Search This Blog

TIP'S CETAGORY WITH LANGUAGE

Tips 4 pc

Update Software

Tuesday, August 31, 2010

ডোমেইন নামের যত কথা

ডোমেইন নামের যত কথা

সানিম আহমেদ
ইন্টারনেটে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা লাখ লাখ কম্পিউটারকে চিহ্নিত ও তাদের অবস্থান নির্দেশ করার একটি উপায় হচ্ছে ডোমেইন নাম। আমাদের সবার আলাদা-আলাদা নাম আছে বলে যে কেউ আমাদের খুঁজে বের করতে পারে, ডাকলে আমরা সাড়া দিই। একইভাবে আমাদের সবার মোবাইল ফোন নম্বরও চিহ্নিত ও ‘লোকেট’ করার এটি একটি মাধ্যম। এখানে উল্লেখ্য, আমাদের নির্দিষ্ট কোনো একজনের মতো হুবহু আরেকটি মোবাইল নম্বর অন্য কারো নেই। এ নম্বরটি ইউনিক। যদি তা না হতো তাহলে গোটা সিস্টেমটাই কিন্তু সমস্যায় পড়ত। ঠিক একইভাবে হুবহু একই রকম দুটো ডোমেইন নাম থাকা সম্ভব নয়, যদি তা হতো তাহলে ইন্টারনেটে ওই দুটি ওয়েবসাইটকে খুঁজে পাওয়া সম্ভব হতো না। আমরা হরহামেশাই, নানারকম ওয়েব ঠিকানা দেখি, যেমন : www.amardeshbd.com
www.microsoft.com
www.unicef.org
www.networld.net ইত্যাদি।
এখানে মাইক্রোসফট.কম, নেটওয়ার্ল্ড.নেট—এগুলোই হচ্ছে ডোমেইন নাম। প্রতিটি ডোমেইন নামই দুটি অংশে বিভক্ত এবং এ দুটো অংশের মাঝে আছে একটি ডট বা বিন্দুচিহ্ন। এরকম আরো কয়েকটি ডোমেইন নাম হতে পারে:
internic.net
netsol.com
nasa.gov
utexas.edu
reston.va.us
ডোমেইন নামের পর সাব ডোমেইন বলে আরেকটা ব্যাপার আছে। একবার একটি ডোমেইন নাম তৈরি হয়ে গেলে এর অধীনে আবার একাধিক সাব-ডোমেইন তৈরি করা যায়। উদাহরণস্বরূপ, একটি বড় কোম্পানির ডোমেইন নাম হতে পারে নরমপড়.পড়স. এখন এ কোম্পানির সারা দেশে ছড়িয়ে থাকা বিভিন্ন আঞ্চলিক অফিসের জন্য যদি আলাদা-আলাদা সাব-ডোমেইন তৈরি করতে যাই, তাহলে সেগুলোর সাব-ডোমেইন নামের বিন্যাস এমন হতে পারে :
হোস্ট নাম, সাব-ডোমেইন, সেকেন্ড লেভেল ডোমেইন, টপ লেভেল ডোমেইন।
উদাহরণ : tiger.newyork.bigco.com
উদাহরণটিতে দেখা যাচ্ছে, একটি কম্পিউটারের কথা বোঝাচ্ছে, যার নাম টাইগার, এটি বিগকো কোম্পানির নিউইয়র্কের অফিসে রাখা আছে। কাজেই এখানে বিগকোর অধীনে টাইগার এবং নিউইয়র্ক হচ্ছে সাব-ডোমেইন। প্রত্যেক ডোমেইনের অধীনে যে একটি করে সাব-ডোমেইন থাকবে তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। সাধারণত একটি মাত্র ডোমেইন নামের অধীনে একাধিক সাব-ডোমেইন থাকতে পারে।
একটু আগে আমরা টপ লেভেল ডোমেইনের নাম শুনলাম। টপ লেভেল ডোমেইন থেকে জানা যাবে, প্রতিষ্ঠানটি এ ডোমেইন নামের মালিক সেটি কোন ধরনের প্রতিষ্ঠান। প্রধান প্রধান টপ লেভেল ডোমেইনের মধ্যে আছে :
.কম (.com) : বাণিজ্যিক সংস্থা
.এডু (.edu) : কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়সহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
.নেট (.net) : ইন্টারনেট অপারেশনে সংশ্লিষ্ট সংস্থা, যেমন—নেটওয়ার্ক প্রভাইডার এবং নেটওয়ার্ক ইনফরমেশন সেন্টার
.অর্গ (.org) : বিভিন্ন সংস্থা যারা অন্য কোনো ক্যাটেগরিতে পড়ে না, যেমন—অলাভজনক সংস্থা
.গভ (.gov) : সরসারি সংস্থা
.মিল (.mil) : সামরিক বাহিনী (মূলত ইউএস মিলিটারি)
কান্ট্রি কোড : নির্দিষ্ট দেশের জন্য দুই অক্ষরের একটি কোড। যেমন—বাংলাদেশের জন্য bd, ব্রিটেনের জন্য uk, ফ্রান্সের জন্য fr।
তবে কম্পিউটার কিন্তু ডোমেইন নাম চেনে না, কম্পিউটার চেনে ইন্টারনেট প্রটোকল অ্যাড্রেস তথা আইপি অ্যাড্রেস। প্রতিটি ডোমেইন নামের জন্যই আছে একটি করে আইপি অ্যাড্রেস। একটি হচ্ছে সংখ্যাগত ঠিকানা, যার আছে চারটি অংশ। একেকটি অংশে একেকটি করে সংখ্যা, প্রতিটি আবার বিন্দু চিহ্ন দিয়ে আলাদা করা। ইন্টারনেট এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় ডাটা পাঠাতে হলে সেই আইপি অ্যাড্রেস ব্যবহার করে। উদাহারণস্বরূপ, আপনি যখন ওয়েব অ্যাড্রেস লিখছেন www.amardeshonline.com, নেটওয়ার্ক কিন্তু এসব কথাবার্তা বুঝবে না। সেটি বুঝবে, আপনি চাইছেন সেই ওয়েব সার্ভারটিকে, যেটির আইপি অ্যাড্রেস হচ্ছে আপনার দেয়া ডোমেইন নামের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি আইপি অ্যাড্রেস, হয়ত বা ১৯৮.৪১.০.৫। ইন্টারনেটে কাজ করছে ডোমেইন নেম সিস্টেম বলে একটি পদ্ধতি, যেটির কাজ হচ্ছে ডোমেইন নাম এবং প্রতিটি ডোমেইন নামের সঙ্গে যে আইপি অ্যাড্রেসটি সংশ্লিষ্ট তার সম্পর্কিত সব তথ্য বা তালিকা আছে। এটি আছে বলেই আমাদের খটোমটো আইপি অ্যাড্রেস, অর্থাত্ কয়েকটি অর্থহীন সংখ্যা মুখস্থ না করে একটি নির্দিষ্ট নামে ওয়েবসাইটগুলোকে মনে রাখা সম্ভব হচ্ছে। কাজেই ডোমেইন নেম না থাকলে আমাদের ইন্টারনেট ব্যবহার করাটা কতটা ঝামেলাপূর্ণ হতো একবার চিন্তা করে দেখুন তো!

No comments:

Post a Comment

Tips Of All Sorts