Search This Blog

TIP'S CETAGORY WITH LANGUAGE

Tips 4 pc

Update Software

Saturday, August 28, 2010

রোগীদের রোজা পালনের উপায়

রোগীদের রোজা পালনের উপায় ডা. সাকলায়েন রাসেল বেশ কিছু অসুখের কারণে রোজা না রাখার কথা বলা আছে, তবে আমরা যারা ততটা অসুস্থ নই বা যারা কোনো কোনো অসুখে কিছুটা আক্রান্ত, তাদের রোজা রাখা সহজ করার জন্য নিচের টিপসগুলো কাজে লাগতে পারে :
পেপটিক আলসার বা এসিডিটি
খালি পেটে থাকলে এসিডিটির সমস্যা বাড়বে_অনেকের ভাবনা এ রকম। তাই রোজা হলে এ ধরনের রোগীরা দুশ্চিন্তায় পড়ে যান রোজা রাখবেন কি না। এ ব্যাপারে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. জাকির হোসেন জানান, রোজা রাখলে এসিডিটি বাড়বে, এমন কোনো সম্ভাবনা নেই। পেপটিক আলসারের রোগীদের প্রধান কাজ হলো নিয়মিত খাবার খাওয়া, নিয়মিত ঘুমানো এবং নিয়মিত ওষুধ গ্রহণ। রোজায় মানুষের জীবন একটা নিয়মে চলে আসে বিধায় এ সময় এসিডিটির সমস্যা অনেকাংশে কমে যায়। কেউ যদি ভয় পেয়ে যান এই ভেবে যে রোজায় তাঁর এসিডিটির সমস্যা বেড়ে যেতে পারে, তাহলে তিনি সেহরি ও ইফতারের সময় রেনিটিডিন বা ওমিপ্রাজল গ্রুপের ওষুধ একটা করে খেয়ে নিতে পারেন। পাশাপাশি অবশ্যই ভাজাপোড়াজাতীয় খাবার পরিহার করতে হবে।

ডায়াবেটিস
বারডেম হাসপাতালের বিশিষ্ট ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞ ডা. ফিরোজ আমিন জানান, রমজানে ডায়াবেটিক রোগীদের রক্তে সুগারের মাত্রা হঠাৎ কমে গেলে বা হঠাৎ করে অজ্ঞান হয়ে পড়লে রোজার কথা চিন্তা না করে দ্রুত এক গ্লাস শরবত খাইয়ে দিন।
তিনি জানান, সেহরির সময় রুটি খাওয়া বেশ ভালো। কেননা তা দীর্ঘ সময় পেটে থাকায় রক্তের গ্লুকোজ হঠাৎ করে কমে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে না।

হার্টের রোগ
এ বিষয়ে ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালের কার্ডিওলজির স্পেশালিস্ট ডা. মোহাম্মদ সাইফউল্লাহ জানিয়েছেন, রোজা রাখার ক্ষেত্রে হার্টের রোগীদের নিদির্ষ্ট কোনো ধরাবাঁধা নিয়ম নেই। যাঁরা রোগের তীব্র কোনো অবস্থায় নেই তাঁদের রোজা রাখতে কোনো বাধা নেই। তবে রোজায় আমাদের খাবারদাবারে কিছুটা পরিবর্তন আসে। আমরা অভ্যাসগত কারণে ভাজাপোড়া, চর্বিজাতীয় খাবারের প্রতি ঝুঁকে পড়ি। ফলে এ সময় রক্তের কোলেস্টেরল বেড়ে যেতে পারে। তা ছাড়া এ সময় ব্যায়াম ঠিকমতো করতে না পারায় এ সম্ভাবনা আরো বেড়ে যায়। এ ক্ষেত্রে পরামর্শ হলো, এ সময় ভাজাপোড়া এড়িয়ে চলা, চর্বিজাতীয় খাবার পরিহার করা এবং ইফতারের দুই ঘণ্টা পর একটু ব্যায়াম করা। তবে যাঁরা নিয়মিত তারাবির নামাজ আদায় করেন, তাঁরা ব্যায়াম নাও করতে পারেন।

কিডনি রোগ
কিডনি রোগ হলেই রোজা রাখা যাবে না, এমন কোন কথা নেই। তবে এ ক্ষেত্রে বেশ কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। এ ব্যাপারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের নেফ্রোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. এ এইচ হামিদ আহমেদ বলেন, কিডনি ফেইলুর রোগীদের সুনিয়ন্ত্রিত জীবন যাপন করতে হয়, নিয়মিত ওষুধ খেতে হয়, এমনকি পানি খাওয়ার ক্ষেত্রেও বিধিনিষেধ প্রয়োগ করা হয়। তাই রোজা রাখার ক্ষেত্রে তাদের বিশেষ সাবধানতা অবলম্বন করতে হয়। আশার কথা হলো, ইরান, লিবিয়া ও সৌদি আরবে কিডনি রোগীদের ওপর পরিচালিত এক বৈজ্ঞানিক সমীক্ষায় দেখা গেছে, অল্প থেকে মধ্যম মাত্রার কিডনি ফেইলুর রোগীরা রোজা রাখলে কোনো ক্ষতি হয় না। সামান্য যা হয়, রোজার মাস শেষ হয়ে গেলে ১৫ দিনের মধ্যেই তা আগের মতো স্বাভাবিক হয়ে যায়। তবে যাঁদের কিডনি ফেইলুরের মাত্রা একেবারে শেষ পর্যায়ে, তাঁদের পক্ষে রোজা রাখা সম্ভব নয়। তেমনি যাঁরা ডায়ালাইসিসের রোগী অথবা ইতিমধ্যে কিডনি প্রতিস্থাপন করেছেন, ঘড়ির কাঁটা দেখে ওষুধ খেতে হয় বলে তাঁদের পক্ষেও রোজা রাখা প্রায় অসম্ভব। তবে শারীরিক অবস্থা যা-ই থাকুক না কেন, সর্বাবস্থায় আপনার চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে রোজা রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়াই শ্রেয়।

গর্ভকালীন রোজা
এ ব্যাপারে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের গাইনি বিভাগের কনসালট্যান্ট ডা. মুশাররাত সুলতানা সুমি জানান, গর্ভবতী মায়ের যদি শারীরিক কোনো জটিলতা না থাকে তাহলে রোজা থাকতে কোনো বাধা নেই। রোজা রাখবেন কি রাখবেন না এটা নির্ভর করে রোগীর ওপর। প্রয়োজনে এ বিষয়ে রোজার মাস আসার আগেই আপনার ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

বুকের দুধ খাওয়াচ্ছেন এমন মা
অনেকে মনে করেন, রোজা রাখলে বুকের দুধ কমে যায়। ফলে সন্তান দুধ থেকে বঞ্চিত হয়। এ ব্যাপারে ডা. মুশাররাত সুলতানা সুমি জানান, বিষয়টি একদম ভুল। কেননা রোজা রাখলে বুকের দুধ কমার কোনো আশঙ্কা নেই । এ ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই সেহরি ও ইফতারের সময় প্রচুর তরল খাবার খেতে হবে। ইফতারের পর শোয়া পর্যন্ত ঘণ্টায় ঘণ্টায় অল্প অল্প করে পানি খেতে হবে।

অ্যাজমা বা শ্বাসকষ্টের রোগী
রোগ নিয়ন্ত্রণে থাকলে অ্যাজমা বা শ্বাসকষ্টের রোগীদের রোজা রাখতে কোনো বাধা নেই। রোজা রাখা অবস্থায় ইনহেলার নেওয়া যাবে কি না, এ ব্যাপারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেসপিরেটরি ডিজিজ বিভাগের প্রধান ডা. এ কে এম মোশারফ হোসেন জানান, ইনহেলার নিলে রোজা নষ্ট হবে কি না চিকিৎসক হিসেবে তা বলা মুশকিল। যতটুকু জানি, ওষুুধ সরাসরি রক্তে মিশে গেলে রোজা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তবে সঠিক নিয়মে ইনহেলার নিলে রক্তে ওষুধ মিশতে পারে না বা নগণ্য পরিমাণ মিশতে পারে। তবে ব্যক্তিগতভাবে আমার পরামর্শ হলো, সেহরি ও ইফতারের সময় ইনহেলার নিন। আর হঠাৎ তীব্র শ্বাসকষ্ট হলে দেরি না করে রোগীকে হাসপাতালে নিন।

চোখের রোগী
রোজায় চোখের রোগীরা যে সমস্যায় পড়েন সেটি হলো রোজা রাখা অবস্থায় ড্রপ ব্যবহার করতে পারবেন কি না। এর কারণ, চোখে ড্রপ দিলে তা মুখে চলে যেতে পারে, যা রোজার জন্য ক্ষতিকর। বিষয়টি নিয়ে বিশিষ্ট চক্ষু বিশেষজ্ঞ বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ জানান, চোখের সঙ্গে নাকের যোগাযোগকারী একটি নালি আছে। কেউ কাঁদলে চোখের পানি তাই নাকে চলে আসে। তাই চোখে ড্রপ দেওয়ার সময় চোখের ভেতরের কোনায় (নাকের পাশে) চেপে ধরলে নালিটি বন্ধ হয়ে যায়। ফলে ওষুধ নাকে বা গলায় যাওয়ার কোনো সম্ভাবনা থাকে না। সে ক্ষেত্রে রোজা রেখে আপনি অনায়াসে চোখে ড্রপ দিতে পারেন। প্রয়োজনে পদ্ধতিটি রপ্ত করার জন্য আপনার চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

All Tips: Computer Tips, Internet Tips, Printing Tips, Health Tips, Life Tips, Household Tips, Career Tips, Earn By Internet, Phone Tips, Photography Tips, Fashion Tips, Hair Tips, Summer Tips, Travel Tips, Winter Tips etc.

All Blog: All Travel Way, Recipe BD, All Health BD, Dhaka All, Bangla Poetry, Bird sanctuary bd, Wallpaper All Free, Free Treatment Bd etc.

No comments:

Post a Comment

Tips Of All Sorts