Search This Blog

TIP'S CETAGORY WITH LANGUAGE

Tips 4 pc

Update Software

Sunday, August 8, 2010

ঘর পরিচ্ছন্ন রাখতে

ঘর পরিচ্ছন্ন রাখতে

আপনার পোশাক-আশাক বেশ পরিচ্ছন্ন_তাতেই কিন্তু আপনাকে পরিপূর্ণ একজন রুচিবান মানুষ বলা যাবে না। হঁ্যা, বাইরের লোকজন হয়তো বলতে পারে। কিন্তু যারা আপনার ঘরে এসেছে তারা যদি দেখে আপনার ঘর অপরিচ্ছন্ন তাহলে তারা কোনভাবেই আপনাকে রুচিবান মানুষ বলবে না। বরং আপনার উপরের ফিটফাটের বিষয়টি নিয়ে হাসাহাসি করবে। তাই আপনার থাকার ঘরটি অবশ্যই পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন হতে হবে। তবে একটা কথা কিন্তু ঠিক, সব ঘর সমান অপরিচ্ছন্ন হয় না। ঘরটা কোন দিকে মুখ করে বানানো হয়েছে, তার উপর নির্ভর করে বিষয়টি। সাধারণত যেসব ঘর দক্ষিণ দিকে মুখ করে বানানো হয়, সেগুলো বেশি ময়লা হয়। তবে যে কারণেই ময়লা কিংবা অপরিচ্ছন্ন হোক না কেন, যথা সময়ে পরিষ্কার করে নিলে আর কোনো সমস্যা থাকে না। তবে শুধু অপরিচ্ছন্ন হওয়ার পরই নয়, আগে থেকেও যদি কিছু ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায় তাহলে আপনার ঘর থাকবে ঝকঝকে তকতকে। লিখেছেন ইকবাল খন্দকার

যা করতে হবে

০০ সব সময় দরজা খোলা না রাখাই ভালো। বিশেষ করে আপনার ঘরটি যদি নিচতলায় হয়, বিনা কারণে দরজা খোলা রাখবেন না। কারণ যত বেশি সময় ধরে দরজা খোলা রাখবেন, ঘরে ততই বাইরের ধুলো ময়লা এসে ঢুকবে। আপনার আসবাব পত্রে ময়লার স্তর ফেলে দেবে।

০০ যেসময়টুকু দরজা খোলা রাখবেন, সেসময়েও যাতে ধুলোবালি ঘরে প্রবেশ করতে না পারে সেজন্যে দরজায় মোটা পর্দা ঝুলিয়ে দেবেন। জানালা দিয়েও ধুলো ময়লা ঢোকে। আর জানালা ইচ্ছে করলেই দরজার মত বন্ধ রাখা যায় না। তাই জানালায়ও অবশ্যই পর্দা ব্যবহার করবেন। আর মোটা পর্দা ব্যবহার করবেন এই জন্যে, যাতে বাতাসের কারণে এটা উড়ে না যায়।

০০ পরিবারের সদস্য এবং বাইরের লোকজনের আসা যাওয়ার কারণে ঘরের মেঝেতে ধুলোবালি জমে। এই ধুলোবালি শুধু ঝাড়- দিয়ে পরিষ্কার করলেই চলবে না। ঝাড়- দিয়ে পরিষ্কারের পর ছেড়া কাপড় ভিজিয়ে মুছে নিতে হবে। আর ছেড়া কাপড়টি ভেজাতে হবে ডেটল কিংবা স্যাভলনযুক্ত পানিতে। এতে ঘরের মেঝে পরিস্কার হওয়ার পাশাপাশি জীবানূমুক্তও হবে। যা পরিবারের সবার সুস্বাস্থ্যের জন্যে জরুরি।

০০ আপনার বাসায় যদি কার্পেট থাকে তাহলে সেই কার্পেটও নিয়মিত পরিস্কার করতে হবে। কারণ কার্পেটে ময়লা জমলে হয়ে যায় আরো বেশি দৃষ্টিকটু এবং নোংরা। কার্পেট পরিষ্কারের জন্যে ব্রাশ ব্যবহার করা যেতে পারে। নিয়মিত ব্রাশ দিয়ে কার্পেট পরিষ্কার করলে ধুলো ময়লা জমার সুযোগ পাবে না। মনে রাখতে হবে, কার্পেটের ধুলো শুধু অপরিচ্ছন্নতার কারণই নয়, এতে অ্যালার্জিও হতে পারে।

০০ আসবাব পত্রে যেসব ধুলোবালি জমে সেগুলো অনেকেই ভেজা কাপড় দিয়ে পরিষ্কার করে থাকেন। এটা একদমই ঠিক নয়। কারণ ভেজা কাপড় দিয়ে আসবাবপত্র পরিষ্কার করতে গেলে সেগুলোর রং নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই এমন কিছু দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে যাতে রঙের কোনো ক্ষতি না হয়। এরজন্যে মোরগের পালকের তৈরি ঝাড়- ব্যবহার করা যেতে পারে। এগুলো বেশ মোলায়েম এবং আসবাবপত্র বান্ধব। বাজারে খুব অল্প দামেই এসব ঝাড়- কিনতে পাওয়া যায়।

০০ শোপিস কিংবা কাঁচের অন্যান্য জিনিসপত্র মোছার জন্যে বাজারে বিভিন্ন প্রকার তরল জিনিস পাওয়া যায়। এগুলো দিয়ে মুছে নিলে শোপিস অনেক দিন ধরে পরিষ্কার থাকে। মাটির সামগ্রী পরিষ্কারের জন্যে একটা কাজ করা যেতে পারে। ডিটারজেন্টের পানি দিয়ে সেগুলো মুছে নেওয়া যেতে পারে। এতে এসব সামগ্রীতে কোনো প্রকার রোগ জীবানুও থাকবে না। তবে যেসব মাটির সামগ্রীতে আল্পনা করা থাকে সেসব পরিষ্কার করার সময় খেয়াল রাখতে হবে আল্পনার যেন কোনো ক্ষতি না হয়। আল্পনা পানিতে না ভিজিয়ে শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে নিতে হবে। মোছার সময় অবশ্যই জোরে চাপ দেওয়া যাবে না।

০০ কাঠের তৈরি জিনিসপত্রও ভেজা কাপড় দিয়ে মোছা যাবে না। সেটি মোরগের পালকের ঝাড়- দিয়ে মোছার পাশাপাশি বসে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে পরি স্কার করতে হবে। কারণ কাঠের তৈরি এসব জিনিসপত্রের ফাঁকফোকরে অনেক সময় জমে থাকে। তবে নামী দামী কোম্পানির কাঠের জিনিসপত্র মোছার জন্যে উন্নতমানের তরল পরিষ্কারক পাওয়া যায়।

০০ গদিওয়ালা আসবাব পরিষ্কার করাটা একটু ঝামেলার কাজ বটে। তবে সহজ উপায়ও আছে। গদিওয়ালা আসবাব পরিষ্কারের জন্যে ভ্যাকুয়াম পরিষ্কারক ব্যবহার করতে পারেন। তবে সেটা পরিমাণ মত।

০০ ঘর সাজানোর জন্যে যেসব কৃত্রিম ফুল বা ফুলের গাছ রাখা হয়, সেগুলোতে জমতে পারে ধুলো ময়লা। তাই সপ্তাহে কমপক্ষে একদিন এগুলো পরিষ্কার করতে হবে। আর এসব পরিষ্কারের নিয়ম হলো_শ্যাম্পু বা ডিটারজেন্ট পানিতে মিশিয়ে সেই পানি দিয়ে এসব ফুল বা ফুলের গাছ ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিতে হবে।

০০ টেলিভিশনের স্ক্রিন, বইয়ের আলমারি এসব শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে নিতে হবে। রেফ্রিজারেটর পরিষ্কারের জন্যে ডিটারজেন্ট ব্যবহার করতে পারেন। তবে সেটা অবশ্যই সাবধানে।

০০ কম্পিউটার, প্রিন্টার বা এই জাতীয় অন্যান্য জিনিস মোছার ক্ষেত্রেও শুকনো কাপড় ব্যবহার করুন। আর মোছার সময় খেয়াল রাখুন, যেন কোনোভাবেই কোনো কিছুতে জোরে চাপ না লাগে।

সতর্কতা

০০ এমন কিছু কিছু জিনিস আছে যেগুলো ভেজা কাপড় দিয়ে মুছতে গেলে মরিচা পড়ে যায়। এই মরিচা পরবতর্ীতে বাড়তে বাড়তে এমন বাজে অবস্থা হয়ে যায় যে, এগুলো একেবারে অকেজো হয়ে পড়ে। তাই লোহার তৈরি কোনো আসবাব বা অন্যান্য জিনিপত্র পরিষ্কারের সময় ভেজা কাপড় দিয়ে মোছা যাবে না। শুকনো কাপড় দিয়ে মুছতে হবে অথবা মোরগের পালকের ঝাড়- দিয়ে ঝাড়তে হবে।

০০ যাদের বাসা রাস্তার পাশে, তাদেরকে একটু বেশিই সতর্ক থাকতে হবে।এই সতর্কতা আপনাকে পরিচ্ছন্নতার দিক থেকে সাহায্য করবে। অর্থাৎ আগে থেকে সতর্ক থাকলে পরে আর কষ্ট করে পরিষ্কার করতে হবে না।

০০ বৈদু্যতিক জিনিসপত্র পরিষ্কারের সময় খেয়াল রাখতে হবে যাতে শক না লাগে। কারণ ধুলো ময়লা জমে থাকা কোনো কোনো অংশ পরিষ্কার করতে গিয়ে ছিদ্র হয়ে থাকা তারের উপর হাত পড়তেই পারে। তখন ঘটে যেতে পারে দুর্ঘটনা।

০০ সর্বোপরি ঘরের ধুলোবালি পরিষ্কারের সময় নাক মুখ এমনভাবে ঢেকে নিতে হবে, যেন ধুলোবালি নাকে মুখে ঢুকতে না পারে। কারণ এই ধুলোবালি নানারোগের জীবানু বয়ে বেড়ায়।

No comments:

Post a Comment

Tips Of All Sorts