এই সময়ের পোশাক
নারীমেলার পোশাক মানেই বিশেষ চমক। বৈচিত্র্য আর ঐতিহ্যকে লালন করে লাল, নীল, সবুজ, মেজেন্ডা, হলুদ, বেগুনি, বাসন্তি, গোলাপি, সাদা, কালো রং দিয়ে করা হয়েছে শাড়ির মোটিফ। সুতি, সিল্ক, হাফসিল্ক, মসলিন শাড়িতে করা হয়েছে আকর্ষণীয় আল্পনা, ফুল ও লতাপাতার ডিজাইন। ডিজাইনের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে ব্লক, এমব্রয়ডারি, কারচুপি, জরি, চুমকি, মিরর, সিকোয়েন্স, অ্যাপলিক ও হ্যান্ডপেইন্ট। পাওয়া যাবে মিরপুর ১১ ও লালমাটিয়া আড়ং সংলগ্ন নারীমেলার শোরুমে।
নগরদোলা
নগরদোলা এদেশের সুপরিচিত বুটিক হাউসগুলোর মধ্যে অন্যতম। গত বছরের মতো এবারও হাউসটি দিচ্ছে সব পোশাকের ওপর গ্রীষ্মকালীন বিশেষ ছাড়। এ আয়োজন চলবে ১ থেকে ১১ জুন পর্যন্ত। শুভাকাঙ্ক্ষী ও ক্রেতাসাধারণের আরও কাছাকাছি আসা ও নগরদোলার পোশাকের সঙ্গে সর্বস্তরের মানুষের পরিচিতি ঘটাতেই এই উদ্দেশ্য। এ উপলক্ষে সব পোশাকে রয়েছে ২০ থেকে ৬০ ভাগ মূল্যছাড়। এ সুযোগ পাওয়া যাবে ধানমন্ডি ও বনানীর নগরদোলার শোরুমে। যেসব পোশাকের ওপর মূল্যছাড় রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম সালোয়ার-কামিজ,
শাড়ি, ফতুয়া, পাঞ্জাবি, শার্ট, বাচ্চাদের পোশাকসহ সব পোশাকে। ঠিকানা : ধানমন্ডি (বাড়ি-১/এ, সড়ক-১৩, ধানমন্ডি, ফোন : ৯১২৭০৩৫) এবং
বনানী (বাড়ি-৩/জি, সড়ক-১১, বনানী, ফোন : ৯৮৭২০৩৬)
ও-টু
তারুণ্যের পোশাক তৈরি ও বিপণন করে ‘ওটু’ এরই মধ্যে বেশ সুনাম কুড়িয়েছে। বিভিন্ন উত্সব ও সিজনে তারা নিয়ে আসে তরুণ-তরুণীদের জন্য নানা ধরনের পোশাক। এখন তৈরি পোশাকে ব্যবহার করা হয়েছে হালকা রং। যেমন অফ হোয়াইট, বেগুনি, অ্যাশ, আকাশি নীল, গোলাপি, পিচ কালারসহ অন্যান্য রং। ডিজাইনে আছে পুরনো ইমারতের দেয়ালে বর্ষার বিমূর্ত ইমেজ। এছাড়া আছে ফুল ও প্রকৃতির ইমেজ। ডিজাইনের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে ব্লক, এমব্রয়ডারি, সিকোয়েন্স, কারচুপি ও বিভিন্ন ধরনের সুতার কাজ। রং হিসেবে প্রাধান্য পেয়েছে বাদামি, অ্যাশ, গোলাপি, সবুজ, নীল বেগুনি, মেরুন, সাদা ও কালো। ‘ওটু’র পোশাক পাওয়া যাবে : বাড়ি-১৫৭, রোড-১২, ব্লক-ই, বনানী, ঢাকা এই ঠিকানায়। ফোন : ৮৮৩২৪৯১
প্রদীপ
প্রদীপ কুমার বসাক একজন প্রতিষ্ঠিত তাঁত ডিজাইনার। তার নিজের নামেই পরিচিত হয়েছে শাড়ির ব্রান্ড। আর এই কারণে ফ্যাশন সচেতন মানুষের কাছে প্রদীপের শাড়ি আজ বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। ঢাকার অভিজাত শাড়ির দোকানে পাওয়া যায় প্রদীপের তাঁতের শাড়ি। প্রদীপের শাড়ির প্রধান বৈশিষ্ট্য এর বৈচিত্র্যপূর্ণ ডিজাইন ও দৃষ্টিনন্দন কালার কম্বিনেশন। কিছু উত্সবকেন্দ্রিক শাড়িতে ব্যবহার করা হয়েছে উজ্জ্বল রং। সুতি শাড়িতে ব্যবহার করা হয়েছে স্ট্রাইপ আর হাফ সিল্ক ও সিল্ক শাড়িতে ব্যবহার করা হয়েছে জরি, আল্পনা ও ফুলের ডিজাইন। অন্যান্য শাড়ির মধ্যে আছে জামদানি, কাতান, সিল্ক ও কোটা শাড়ি। প্রতিটি শাড়ির পাড় ও আঁচল বিন্যাসে রাখা হয়েছে অপূর্ব কারুকাজ। জমিনে আছে প্রকৃতির এক অনন্য ইমেজ। প্রদীপের শাড়ির সব থেকে আকর্ষণীয় বৈশিষ্ট্য প্রতিটি শাড়িতে মোটিফ ফুটিয়ে তোলা হয় ছয়টি রং দিয়ে। কিছু ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয় ৯টি রং। ঢাকার অভিজাত শোরুমে পাওয়া যাবে প্রদীপের শাড়ি। এছাড়া পাইকারি বিক্রয় কেন্দ্র : গ্রাম-চণ্ডি, পোস্ট-পাথরাইল, থানা-দেলদুয়ার, জেলা-টাঙ্গাইল। মোবাইল : ০১৭১৫১৮০১০৬
গ্রন্থনা : আবু সুফিয়ান কবির
No comments:
Post a Comment