Search This Blog

TIP'S CETAGORY WITH LANGUAGE

Tips 4 pc

Update Software

Thursday, December 23, 2010

দারিদ্র্য নিরসনে তথ্যপ্রযুক্তি

দারিদ্র্য নিরসনে তথ্যপ্রযুক্তি

ড. মশিউর রহমান
দারিদ্র্য শুধু আমাদের দেশ বাংলাদেশেরই সমস্যা নয়। বর্তমানে বিশ্বের সব নেতা-নেত্রী এই দারিদ্র্য থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। ২০০৩ সালের তথ্যসূত্রে দেখা যায়, বিশ্বের মোট ৯০০ মিলিয়ন মানুষ দরিদ্র এবং বর্তমানে এই সংখ্যা নিশ্চয়ই বেড়ে অনেক হয়েছে।

দারিদ্র্য কীভাবে দূর করা যায়?

দারিদ্র্য দূর করার জন্য নিচের বিষয়গুলো ভূমিকা রাখতে পারে—
শিক্ষা : একজন দরিদ্র মানুষ শিক্ষার অভাবে তার অবস্থার পরিবর্তন করতে পারে না। তাই দরিদ্র মানুষের কাছে শিক্ষা সহজলভ্য করা দরকার।
অর্থনীতি : একজন দরিদ্র মানুষের অবস্থার পরিবর্তন করার জন্য প্রয়োজন অর্থ আর এই অর্থ তার কাছে সহজলভ্য হওয়া প্রয়োজন। মাইক্রোক্রেডিট বা ক্ষুদ্রঋণ এক্ষেত্রে ভূমিকা পালন করতে পারে। অবশ্য ক্ষুদ্রঋণ ব্যবহার করে দরিদ্ররা সেই ঋণের বোঝা থেকে সত্যিই বেরিয়ে আসতে পারে কি-না তা এখনও সম্পূর্ণ প্রমাণ হয়নি। যদিও আমাদের দেশের ক্ষুদ্রঋণের সাফল্য নিয়ে প্রশ্ন আছে, তারপরও বলা যায়, ক্ষুদ্রঋণ কিছুটা হলেও দারিদ্র্য নিরসনে ভূমিকা রাখে।
তথ্য : যদিও এতদিন পর্যন্ত দারিদ্র্য নিরসনে তথ্যকে তেমন গুরুত্ব দিয়ে দেখা হয়নি, তবে এখন অস্বীকার করার উপায় নেই যে সঠিক তথ্য একজনের অবস্থান পরিবর্তন করতে ভূমিকা রাখতে পারে। এছাড়াও সামাজিক কাঠামোসহ অনেক কিছুই ভূমিকা পালন করে। তবে আজকের এই প্রবন্ধে ‘তথ্য’কে কেন্দ্র করে আলোচনা করব।
আমাদের সভ্যতার শুরুর দিকে প্রযুক্তি উন্নয়নের চাবিকাঠি হলেও বর্তমানে আমরা দেখতে পাচ্ছি অন্যান্য প্রযুক্তির মধ্যে তথ্যপ্রযুক্তি বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। ‘তথ্যপ্রযুক্তি’ মূলত যোগাযোগের মাধ্যম, তথ্য সংরক্ষণ এবং তথ্যকে নিয়ে সহজে কাজ করার একটি প্রযুক্তি হিসেবে দেখতে পারি। তথ্যপ্রযুক্তির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো ‘ইন্টারনেট’, যাকে আমরা জনগণের নেটওয়ার্ক বলতে পারি এবং এখানে জনগণই তথ্যের উত্পাদন বা সংযোগ করেন এবং তা অন্যের সঙ্গে শেয়ার করেন। ইন্টারনেটকে আমরা একটি বিশাল তথ্যভাণ্ডার বলতে পারি। যেহেতু এই তথ্যভাণ্ডারের অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য থাকে, তাই সেই তথ্যকে ব্যবহার করে দারিদ্র্য দূর করা সম্ভব।

দরিদ্র জনগণের কাছে তথ্য পৌঁছে দেয়ার উপায়

দারিদ্র্য বিমোচনের উপায় কিংবা যেসব তথ্য ব্যবহার করলে দারিদ্র্য থেকে মুক্তি পেতে পারে সেই তথ্যগুলো আমরা তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে দরিদ্র লোকের কাছে পৌঁছে দিতে পারি। কিন্তু এক্ষেত্রে সমস্যা হলো আমাদের দরিদ্র মানুষগুলো অশিক্ষিত, যার ফলে তথ্যপ্রযুক্তি সরাসরি তাদের উপকারে আসতে পারবে না। এক্ষেত্রে ৩টি উপায় রয়েছে যা আমরা বর্তমানে প্রয়োগ করছি—১. কমিউনিটি সেন্টার, ২. কমিউনিটি রেডিও এবং ৩. টেলিসেন্টার।

কমিউনিটি সেন্টার বা তথ্য কেন্দ্র

এটি মূলত একটি সেন্টার যেখানে তথ্য সহজে পাওয়া যেতে পারে। সাধারণত কম্পিউটার, ইন্টারনেট ইত্যাদি কমিউনিটি সেন্টারে থাকে। দরিদ্র জনগণ নিজে সরাসরি না পারলেও কমিউনিটি সেন্টারের লোকজনের সাহায্য নিয়ে তথ্য নিতে পারে। আবার কমিউনিটি সেন্টারগুলো তথ্য সরবরাহ— ‘একটি সার্ভিস প্রদান’ হিসেবে গণ্য করে অর্থনৈতিকভাবে সাবলম্বী হতে পারে। বাংলাদেশে এ ধরনের কমিউনিটি সেন্টার গড়ে উঠেছে।

কমিউনিটি রেডিও

রেডিও আকারে ছোট, সহজে বহনযোগ্য এবং দামেও সস্তা; বাংলাদেশে এটি বেশ সহজলভ্য। কমিউনিটি উন্নয়ন ধারণাকে ব্যবহার করে কমিউনিটি বেতারের মাধ্যমে সুবিধাবঞ্চিত এলাকার জনগণের চাহিদামাফিক তথ্য সরবরাহ করা সম্ভব। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো এলাকাভিত্তিক লাগসই ও টেকসই কৃষিপ্রযুক্তি সম্প্রসারণ ও স্থানীয় উন্নয়নের মাত্রিক উন্নয়ন করা সম্ভব। বিজ্ঞাপন সম্প্রচারের মাধ্যমে কমিউনিটি রেডিওগুলো স্বাবলম্বী হতে পারে।

টেলিসেন্টার

এটি একটি কলসেন্টারের মতো যেখানে টেলিফোনের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের সার্ভিস দেয়া হবে। বিনামূল্যে প্রদান না করে সামান্য ফি’র বিনিময়ে তথ্য প্রদান করে টেলিসেন্টারগুলো স্বাবলম্বী হতে পারে।
প্রত্যন্ত অঞ্চলে যেহেতু কৃষকরাই বেশি এবং তাদেরই বেশি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া দরকার। তাই আজ মূলত কৃষকদের নিয়েই আলোচনা করব। কৃষকের জন্য সবচেয়ে প্রয়োজনীয় বিষয়টি হচ্ছে সময়ানুযায়ী সঠিক তথ্যপ্রাপ্তি। সঠিক সময়ে সঠিক তথ্য না পেলে কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং কাঙ্ক্ষিত উত্পাদন ও বাজারমূল্য পায় না। কৃষকদের কৃষি সংক্রান্ত তথ্য দেয়ার জন্য প্রত্যন্ত অঞ্চলে কৃষি তথ্য কেন্দ্র ভূমিকা রাখতে পারে। এখানে কৃষকরা ফসল ও কীটনাশক সংক্রান্ত তথ্য সহজে পেতে পারে। কোন ফসল চাষ করলে তা অর্থনৈতিকভাবে বেশি উপকারে আসবে তা জানা থাকলে কৃষকরা সেই দৃষ্টিভঙ্গিতে চাষ করতে পারবে। এছাড়া একটি ফসল তোলার পর কোথায় বিক্রি করলে সুবিধা হবে তা জানলে কৃষকরাও উপকৃত হবে। কৃষি তথ্য কেন্দ্র তৈরির প্রথম উদ্যোগ দেখা যায় ভারতে। সেখানে মধ্যপ্রদেশ জ্ঞানদূত ও দৃষ্টি প্রকল্পের মাধ্যমে কৃষকরা তাদের কৃষি সংক্রান্ত তথ্য পাচ্ছে। এছাড়া নেপালে গধযরষধডবন মহিলাদের তথ্যপ্রযুক্তি সেবার মাধ্যমে তাদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে। বাংলাদেশেও কৃষকদের জন্য নিম্নের প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ করছে—
— http://www.agrobangla.com
— http://www.ruralinfobd.com
— http://www.ekrishok.com
— গ্রামীণফোন কমিউনিটি ইনফরমেশন সেন্টার (জিপিসিআইসি) প্রকল্পের আওতায় বিআইআইডি এবং জানালা বাংলাদেশ যৌথভাবে বাতিঘর নামক ই-তথ্য কেন্দ্র চালু করেছে।
— http://www.gpcic.org.— বাংলাদেশ সরকারের কৃষি তথ্য সার্ভিস
— http://www.ais.gov.bd/ যেহেতু কৃষকরা কম্পিউটার, তথ্যপ্রযুক্তি কিংবা ইন্টারনেটে কীভাবে তথ্য খুঁজতে হবে তা জানে না, তাই এ ধরনের কৃষি তথ্য কেন্দ্রের প্রয়োজন রয়েছে। তবে ভবিষ্যতে যখন কৃষকরা নিজেরাই তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করতে শিখবে তখন আরও ব্যাপকভাবে তথ্যপ্রযুক্তি ভূমিকা রাখতে পারবে। তথ্যপ্রযুক্তি শুধু কম্পিউটারের মাধ্যমে সীমাবদ্ধ নয়। বর্তমানে যেহেতু মোবাইল ব্যাপকভাবে আমাদের কাছে সমাদৃত হচ্ছে তাই অদূর ভবিষ্যতে মোবাইল ভূমিকা রাখবে বলে মনে করি। এছাড়া কমিউনিটি রেডিও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

কৃষি সেবা লাইন/ফোন ইন সুবিধা

বর্তমানে মোবাইল কৃষকের হাতে সহজলভ্য হচ্ছে, তাই মোবাইল ফোনের মাধ্যমে কৃষকদের হেল্প লাইন সার্ভিস চালু হয়েছে। বাংলাদেশে বাংলালিংক এই সার্ভিস নিয়ে এসেছে। তারা কৃষকদের সমস্যার সমাধান, বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ ও বিরূপ আবহাওয়ায় করণীয় বিষয়ে তথ্য প্রদানের মাধ্যমে কৃষকরা উপকৃত হচ্ছে। টেলিকমিউনিকেশন প্রযুক্তি ব্যবহার করে এই সুবিধাগুলো দেয়া সম্ভব এবং এক্ষেত্রে আইপি টেলিফোনি ভূমিকা রাখতে পারে।

ক্ষুদ্রঋণ ও তথ্যপ্রযুক্তি

দারিদ্র্য দূর করার ক্ষেত্রে ক্ষুদ্র ঋণ বেশ ভূমিকা পালন করছে। ক্ষুদ্রঋণের ক্ষেত্রে তথ্যপ্রযুক্তি ভূমিকা রাখতে পারে।

ই-শিক্ষা

দারিদ্র্যের অন্যতম একটি কারণ হলো শিক্ষা। তাই তথ্যপ্রযুক্তিকে আমরা কাজে লাগাতে পারি শিক্ষা বিস্তারের ক্ষেত্রে। তথ্যপ্রযুক্তির এই ব্যবহারকে বলা হয় ই-লার্নিং বা ই-শিক্ষা। ই-শিক্ষাকে ঠিকমত কাজে লাগালে আমরা দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও শিক্ষাকে ছড়িয়ে দিতে পারব। শিক্ষা বিস্তারের জন্য প্রয়োজন ভালো শিক্ষক ও শিক্ষার উপকরণ। ই-শিক্ষার মাধ্যমে আমরা ভালো শিক্ষকদের লেকচার, বই, মাল্টিমিডিয়া ভিত্তিক শিক্ষা উপকরণ প্রত্যন্ত অঞ্চলেও ছড়িয়ে দিতে পারব।
আমরা যখনই তথ্যপ্রযুক্তিকে সামাজিক উন্নয়নের কথা বলি তখন প্রায়ই প্রযুক্তিকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকি। কিন্তু আমরা এখন উপলব্ধি করেছি, Process is more important than access, and content is more important than machines.

All Tips: Computer Tips, Internet Tips, Printing Tips, Health Tips, Life Tips, Household Tips, Career Tips, Earn By Internet, Phone Tips, Photography Tips, Fashion Tips, Hair Tips, Summer Tips, Travel Tips, Winter Tips etc.

All Blog: All Travel Way, Recipe BD, All Health BD, Dhaka All, Bangla Poetry, Bird sanctuary bd, Wallpaper All Free, Free Treatment Bd etc.

No comments:

Post a Comment

Tips Of All Sorts