মুখ ও দাঁতের ক্যান্সার
ডা. মুজাহিদুল ইসলাম ক্যান্সার নিয়ে মানুষের আতঙ্ক সব সময় বেশি। যেকোনো রোগ হলে সবাই প্রথমে ভাবেন ক্যান্সার হলো না তো? কোথাও ফুলে গেলে বা টিউমারের মতো হলে তো কথাই নেই। দাঁত বা মাঢ়ির রোগ হলে এ আতঙ্ক আরো বেশি।
মুখে ক্যান্সার হয়, এটা সত্যি। এ উপমহাদেশে মুখের ক্যান্সারের হার অন্য অনেক দেশের তুলনায় অনেক বেশি। এর বড় কারণ পান, বিড়ি, তামাক ইত্যাদি। তাই মুখের ক্যান্সারবিষয়ে আতঙ্কের চেয়ে বেশি প্রয়োজন সচেতনতা। কারণ ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি কমাতে পারবেন_প্রাথমিক পর্যায়ে রোগটি বুঝতে পারলে পুরোপুরি ভালো হওয়ার সুযোগও হতে পারে। আর এগুলো সম্ভব কেবল ক্যান্সার বিষয়ে একটু আগেভাগে সতর্ক থাকলেই।
ভালো খবর হলো, সাম্প্রতিক সময়ে ক্যান্সারের বেশ উন্নত চিকিৎসা দেশেও শুরু হয়েছে। প্রাথমিক পর্যায়ে রোগ নির্ণয়ের হারও বেড়েছে। আবার ক্যান্সারের চিকিৎসা নেওয়ার পর সফলতার হারও বেড়েছে।
মুখের ক্যান্সারের আশঙ্কা থাকলে নিয়মিত ডেন্টিস্টকে দেখানো জরুরি। তিনি চেকআপ করলেই বুঝতে পারবেন আপনার এ-জাতীয় সমস্যা হওয়ার ঝুঁকি কতখানি। কিছু অসুখ আছে যেগুলো প্রি ক্যান্সারাস লেশন নামে পরিচিত। এগুলোর উপস্থিতি লক্ষ করলে তিনি চিকিৎসা দেবেন। ফলে ঝুঁকি কমবে ক্যান্সারের।
জেনে রাখা ভালো
* মুখের ক্যান্সার শুরুতে খুব ছোট থাকে। সাধারণত সাদা বা লাল রঙের স্পট বা ক্ষত মুখের ভেতরের গালে বা জিহ্বায় বা তালুতে বা ঠোঁটে দেখা দেয়।
* যাঁরা তামাক ও তামাকজাত পণ্য ব্যবহার করেন, তাঁদের মুখের ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে।
* যাঁরা অ্যালকোহল পান করেন, তাঁদের হয়।
* বেশি সময় রোদে থাকলে ঠোঁটের ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।
* বদ অভ্যাস না থাকলেও ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি সবার জন্যই রয়েছে।
যখন ডেন্টিস্ট দেখাতে হবেই
* মুখের ভেতরে কোথাও ক্ষত হলে বা ফোসকার মতো করে চামড়া উঠে গেলে এবং সেই ক্ষত দুই সপ্তাহের মধ্যে না শুকালে।
* মুখের ভেতরের গাত্রের রং গোলাপি থেকে ফ্যাকাসে বা কালো বা অন্য কোনো রঙে বদলে গেলে।
* মুখের ভেতরে শক্ত চাকার মতো কিছু হলে।
* ঠোঁটের কোথাও ব্যথা, অবশ অবশ ভাব হলে।
* চিবানো, গেলা ও কথা বলতে অসুবিধা হলে।
* জিহ্বা নাড়াতে অসুবিধা হলে।
মুখের ক্যান্সারের কয়েকটি তথ্য
আমাদের দেশে কতজন লোক প্রতিবছর মুখের ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়, সে সম্পর্কে কোনো তথ্য পাওয়া যায় না। তবে যে কয়েকটি গবেষণা পরিচালিত হয়েছে, তা থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী উন্নত বিশ্বের তুলনায় এখানে মুখের ক্যান্সারের হার কয়েক গুণ বেশি। উন্নত বিশ্বের অবস্থাও খুব নাজুক। প্রতিবছর আমেরিকায় ৩৪ হাজার মানুষ মুখের ক্যান্সারে আক্রান্ত হয় এবং সাড়ে সাত হাজার মানুষের মৃত্যু ঘটে এই ক্যান্সারে। মেয়েদের চেয়ে পুরুষদের এই ক্যান্সার হওয়ার হার প্রায় দ্বিগুণ। চিকিৎসা পাওয়ার পরও ২৫ ভাগের মৃত্যু ঘটে পাঁচ বছর যেতে না যেতেই।
ক্যান্সারের বিপদ যখন
* তামাক ও তামাকজাত (পান, বিড়ি, সিগারেট, গুল, জর্দা, খৈনি) পণ্য, অ্যালকোহল পান করলে ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে তিন গুণ। তবে দেখা গেছে যাদের এসব অভ্যাস ছিল না সে রকম লোকও ক্যান্সারে আক্রান্ত হতে পারে। মোট ক্যান্সার আক্রান্তের মধ্যে ২৫ ভাগ লোকের ক্ষেত্রে এসব কারণ ছাড়াই ক্যান্সার হয়ে থাকে।
* ৪০ বছর বা তার বেশি বয়সী মানুষের ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি এর চেয়ে কম বয়সীদের তুলনায় পাঁচ গুণ বেশি।
* মুখের ভেতর ধারালো দাঁতের কারণেও ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।
* দীর্ঘদিন কোনো টিউমার চিকিৎসা না করালে সেখান থেকে ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।
সাবধান হোন, সতর্ক থাকুন
কারণগুলো যখন জানা থাকে, তখন সাবধান হওয়ার সুযোগ বেশি থাকে। যে অভ্যাসগুলো ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি বাড়ায়, তা বদলে ফেলুন। নিয়মিত ডেন্টিস্টকে দিয়ে মুখের ভেতরটা চেকআপ করান। বিশেষ করে বয়স ৪০ হওয়ার পর। দাঁতের কোনো অসুখকে ছোট মনে করবেন না বা ব্যথা হচ্ছে না বলে চিকিৎসা করা বন্ধ রাখবেন না।
ডেন্টাল সার্জন
মুখে ক্যান্সার হয়, এটা সত্যি। এ উপমহাদেশে মুখের ক্যান্সারের হার অন্য অনেক দেশের তুলনায় অনেক বেশি। এর বড় কারণ পান, বিড়ি, তামাক ইত্যাদি। তাই মুখের ক্যান্সারবিষয়ে আতঙ্কের চেয়ে বেশি প্রয়োজন সচেতনতা। কারণ ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি কমাতে পারবেন_প্রাথমিক পর্যায়ে রোগটি বুঝতে পারলে পুরোপুরি ভালো হওয়ার সুযোগও হতে পারে। আর এগুলো সম্ভব কেবল ক্যান্সার বিষয়ে একটু আগেভাগে সতর্ক থাকলেই।
ভালো খবর হলো, সাম্প্রতিক সময়ে ক্যান্সারের বেশ উন্নত চিকিৎসা দেশেও শুরু হয়েছে। প্রাথমিক পর্যায়ে রোগ নির্ণয়ের হারও বেড়েছে। আবার ক্যান্সারের চিকিৎসা নেওয়ার পর সফলতার হারও বেড়েছে।
মুখের ক্যান্সারের আশঙ্কা থাকলে নিয়মিত ডেন্টিস্টকে দেখানো জরুরি। তিনি চেকআপ করলেই বুঝতে পারবেন আপনার এ-জাতীয় সমস্যা হওয়ার ঝুঁকি কতখানি। কিছু অসুখ আছে যেগুলো প্রি ক্যান্সারাস লেশন নামে পরিচিত। এগুলোর উপস্থিতি লক্ষ করলে তিনি চিকিৎসা দেবেন। ফলে ঝুঁকি কমবে ক্যান্সারের।
জেনে রাখা ভালো
* মুখের ক্যান্সার শুরুতে খুব ছোট থাকে। সাধারণত সাদা বা লাল রঙের স্পট বা ক্ষত মুখের ভেতরের গালে বা জিহ্বায় বা তালুতে বা ঠোঁটে দেখা দেয়।
* যাঁরা তামাক ও তামাকজাত পণ্য ব্যবহার করেন, তাঁদের মুখের ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে।
* যাঁরা অ্যালকোহল পান করেন, তাঁদের হয়।
* বেশি সময় রোদে থাকলে ঠোঁটের ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।
* বদ অভ্যাস না থাকলেও ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি সবার জন্যই রয়েছে।
যখন ডেন্টিস্ট দেখাতে হবেই
* মুখের ভেতরে কোথাও ক্ষত হলে বা ফোসকার মতো করে চামড়া উঠে গেলে এবং সেই ক্ষত দুই সপ্তাহের মধ্যে না শুকালে।
* মুখের ভেতরের গাত্রের রং গোলাপি থেকে ফ্যাকাসে বা কালো বা অন্য কোনো রঙে বদলে গেলে।
* মুখের ভেতরে শক্ত চাকার মতো কিছু হলে।
* ঠোঁটের কোথাও ব্যথা, অবশ অবশ ভাব হলে।
* চিবানো, গেলা ও কথা বলতে অসুবিধা হলে।
* জিহ্বা নাড়াতে অসুবিধা হলে।
মুখের ক্যান্সারের কয়েকটি তথ্য
আমাদের দেশে কতজন লোক প্রতিবছর মুখের ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়, সে সম্পর্কে কোনো তথ্য পাওয়া যায় না। তবে যে কয়েকটি গবেষণা পরিচালিত হয়েছে, তা থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী উন্নত বিশ্বের তুলনায় এখানে মুখের ক্যান্সারের হার কয়েক গুণ বেশি। উন্নত বিশ্বের অবস্থাও খুব নাজুক। প্রতিবছর আমেরিকায় ৩৪ হাজার মানুষ মুখের ক্যান্সারে আক্রান্ত হয় এবং সাড়ে সাত হাজার মানুষের মৃত্যু ঘটে এই ক্যান্সারে। মেয়েদের চেয়ে পুরুষদের এই ক্যান্সার হওয়ার হার প্রায় দ্বিগুণ। চিকিৎসা পাওয়ার পরও ২৫ ভাগের মৃত্যু ঘটে পাঁচ বছর যেতে না যেতেই।
ক্যান্সারের বিপদ যখন
* তামাক ও তামাকজাত (পান, বিড়ি, সিগারেট, গুল, জর্দা, খৈনি) পণ্য, অ্যালকোহল পান করলে ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে তিন গুণ। তবে দেখা গেছে যাদের এসব অভ্যাস ছিল না সে রকম লোকও ক্যান্সারে আক্রান্ত হতে পারে। মোট ক্যান্সার আক্রান্তের মধ্যে ২৫ ভাগ লোকের ক্ষেত্রে এসব কারণ ছাড়াই ক্যান্সার হয়ে থাকে।
* ৪০ বছর বা তার বেশি বয়সী মানুষের ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি এর চেয়ে কম বয়সীদের তুলনায় পাঁচ গুণ বেশি।
* মুখের ভেতর ধারালো দাঁতের কারণেও ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।
* দীর্ঘদিন কোনো টিউমার চিকিৎসা না করালে সেখান থেকে ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।
সাবধান হোন, সতর্ক থাকুন
কারণগুলো যখন জানা থাকে, তখন সাবধান হওয়ার সুযোগ বেশি থাকে। যে অভ্যাসগুলো ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি বাড়ায়, তা বদলে ফেলুন। নিয়মিত ডেন্টিস্টকে দিয়ে মুখের ভেতরটা চেকআপ করান। বিশেষ করে বয়স ৪০ হওয়ার পর। দাঁতের কোনো অসুখকে ছোট মনে করবেন না বা ব্যথা হচ্ছে না বলে চিকিৎসা করা বন্ধ রাখবেন না।
বিএসএমএমইউ, ঢাকা
All Tips: Computer Tips, Internet Tips, Printing Tips, Health Tips, Life Tips, Household Tips, Career Tips, Earn By Internet, Phone Tips, Photography Tips, Fashion Tips, Hair Tips, Summer Tips, Travel Tips, Winter Tips etc.
All Blog: All Travel Way, Recipe BD, All Health BD, Dhaka All, Bangla Poetry, Bird sanctuary bd, Wallpaper All Free, Free Treatment Bd etc.
All Blog: All Travel Way, Recipe BD, All Health BD, Dhaka All, Bangla Poetry, Bird sanctuary bd, Wallpaper All Free, Free Treatment Bd etc.
No comments:
Post a Comment