পোশাকে ব্যক্তিত্ব
স্নাতা পড়ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয় বর্ষে। মাঝারি গড়ন, মাঝারি গায়ের রঙ। আহামরি সুন্দরী না হলেও সুশ্রী। তবে স্নাতা যেখানেই যাক না কেন, সবার দৃষ্টি যেন তার দিকে এসে থমকে যায়। স্নাতার সাজ-পোশাকে এমন পারিপাট্য থাকে যা কিনা সবারই দৃষ্টি আকর্ষণ করে। তবে তার সাজে বা পোশাকে কখনোই দামি কিছু চোখে পড়ে না। অতি সাধারণ, সহজলভ্য জিনিস পরেই সে সবার কাছে হয়ে ওঠে আকর্ষণীয়।
লাবণীও পড়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। স্নাতার সবচেয়ে কাছের বন্ধু। দুধে আলতা গায়ের রঙ, দেহের গড়ন, উচ্চতা সবই সুন্দর। চোখ বন্ধ করে এককথায় তাকে সুন্দরী বলে স্বীকার করে নেয়া যায়। কিন্তু এই লাবণী স্নাতার কাছে এলে সবসময়ই কেমন যেন নিষ্প্রভ হয়ে যায়। অথচ স্নাতার চেয়ে সবসময়ই দামি পোশাক কিংবা অলঙ্কার পরে সে। তারপরও কেন যেন সে স্নাতার মতো আকর্ষণীয় হয়ে উঠতে পারে না। দু’বান্ধবী একসঙ্গে কোথাও গেলে সবাই যেন স্নাতাকেই দেখে। কিছুতেই সে রহস্যের কোনো কূলকিনারা করতে পারে না।
আসলে লাবণীর মধ্যে একটা ভ্রান্ত ধারণা বিরাজ করে। সে মনে করে, দামি পোশাক কিংবা অলঙ্কারই একজন মানুষকে আকর্ষণীয় করে তোলে। ব্যাপারটি মোটেই তা নয়। তাহলে সবার দৃষ্টি স্নাতার দিকে চলে যেত না। কম দামি পোশাকও অনেক ক্ষেত্রে আকর্ষণীয় হতে পারে।
‘আসলে আমাদের দেশে এমন একটি ইনস্টিটিউশন গড়ে তোলা উচিত যেখানে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে একদল দক্ষ কর্মী বেরিয়ে আসবে। যারা বিভিন্ন বুটিক হাউসে নিয়োজিত থেকে ক্রেতাদের পোশাকের ব্যাপারে সচেতন করে তুলতে সাহায্য করবে। এর ফলে এদেশের মানুষ পোশাক নির্বাচনে সতর্ক হয়ে উঠবে’—কিছুটা আশা এবং কিছুটা নিরাশার সঙ্গে কথাগুলো বললেন এমদাদ হক, বাংলার মেলার কর্ণধার।
পোশাক হলো এমন একটি বিষয় যা একজন মানুষের ব্যক্তিত্ব বাড়িয়ে দিতে বা কমিয়ে দিতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ব্যক্তিত্ব বাড়বে তখনই, যখন পোশাকটি যে পরেছে তার বয়স, কর্মক্ষেত্র, দেহের গড়ন সবকিছুর সঙ্গে মিলে যাবে। আর এই পোশাকই আবার কারও ব্যক্তিত্ব কমিয়ে দেবে যদি কেউ আনারকলি সালোয়ার-কামিজ পরে গাউছিয়া মার্কেটে কেনাকাটা করতে আসে।
আমাদের দেশে একটা বিষয় খুব বেশি দেখা যায়। সেটি হলো, যখন যে পোশাকের চল আসে সব বয়সের মানুষই সে ফ্যাশনটাকে অনুসরণ করতে শুরু করে। কিন্তু পোশাকটি তাদের কতটুকু মানাচ্ছে সে ব্যাপারে কারোরই যেন খেয়াল থাকে না। ফ্যাশন এসেছে তাই এই পোশাকটি পরতে হবে, এটাই হলো বড় ব্যাপার। ফলে অন্যের কাছে নিজেকে আকর্ষণীয় করতে গিয়ে অনেক ক্ষেত্রেই অন্যের হাসির খোরাক হয়ে যান—যা কখনোই কারও কাম্য নয়।
প্রতিটি মানুষই তার নিজস্ব বৈশিষ্ট্যে অনন্য। দেহের গড়ন, ব্যক্তিত্ব—সবই একজনের থেকে অন্যজনের ভিন্ন হয়। সুতরাং পোশাক নির্বাচনেও প্রতিটি মানুষের মধ্যে ভিন্নতা থাকবে সেটাই স্বাভাবিক। জেনে নিন কোন গড়নে কেমন পোশাক মানানসই হবে।
স্থূলকায়াদের জন্য
যারা স্থূলকায় তাদের পোশাক নির্বাচন করতে গিয়ে প্রথমেই কাপড়টা দেখে নিতে হবে। সুতির পোশাক পরলেও একটু সফট টাইপের কাপড় বেছে নেয়া ভালো। যেমন—লিলেন টাইপ কাপড়। এতে করে তাদের দেহের স্থূলতা কিছুটা হলেও কম দেখাবে। মাড় দেয়া কাপড় না পরাই ভালো। জামদানি পরলেও মাড় ছাড়া পরতে হবে। বড় বড় ছাপ, গাঢ় রঙের কাপড় এড়িয়ে যান। জ্যামিতিক নকশার পোশাক মোটাদের বেশি মানায়। সালোয়ার-কামিজ পরলে জামার লম্বা হবে হাঁটু পর্যন্ত আর শেপটি হবে ্তুঅ্থ কাটের। আর পোশাকটি যেন আঁটসাঁট না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। কারণ এতে তাদের স্থূলতা আরও বেশি চোখে পড়বে।
হালকা গড়নের যারা
যারা রোগা এবং লম্বা তারা যে কোনো কিছু পরতে পারে। তবে কাপড়ের নকশার দিকে তাদের একটু লক্ষ্য রাখতে হবে, যেন তাদের অতিরিক্ত লম্বা আর শুকনো না লাগে। যেমন তারা পরতে পারে বড় বড় ফ্লোরাল প্রিন্ট, জ্যামিতিক নকশার পোশাক। লম্বা স্ট্রাইপ দেয়া কাপড় না পরাই ভালো। সালোয়ার-কামিজের ক্ষেত্রে কুর্তা, চুড়িদার পরা যেতে পারে।
মাঝারি গড়নের মেয়েদের ক্ষেত্রে
যারা এই শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত তাদের তো পোয়াবারো। যে কোনো প্রিন্টের যে কোন পোশাক তারা অনায়াসে পরতে পারে। পোশাক নির্বাচনে খুব একটা বাছবিচার তাদের করতে হয় না।
ছেলেদের বসন
আসলে আমাদের দেশের ছেলেরা দু’ধরনের পোশাক পরে থাকে। অফিসিয়াল আর ক্যাজুয়াল। অফিসিয়াল ব্যাপারটিকে আবার দু’ভাগে ভাগ করা যায়। ছাত্র আর চাকরিজীবী। তবে দু’ভাগেরই একটি কমন ব্যাপার হলো, উভয়কেই তাদের প্রতিষ্ঠানের নিয়মনীতি অনুযায়ী পোশাক পরতে হয়। এর বাইরে তারা যে পোশাক পরে সেটিই হলো ক্যাজুয়াল পোশাক।
ছেলেদের ক্যাজুয়াল পোশাক সম্পর্কে এমদাদ হক বলেন, অফিসের বাইরে ছেলেরা যে কোনো আরামদায়ক পোশাক পরতে পারে। যেমন—ফতুয়া, হাওয়াই শার্ট ইত্যাদি। অফিসের বাইরে শার্ট ইন না করে পরাই ভালো। আজকাল বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ছেলেরা বিদেশি পোশাকের পরিবর্তে পাঞ্জাবি-পাজামা পরছে। এটা একটা খুবই ভালো লক্ষণ বলে জানালেন এমদাদ হক।
আমাদের দেশের মিডিয়া জগতের দিকে তাকালে আমরা এমন ক’জন ব্যক্তিত্ব পাব, যারা চলমান পোশাকের ফ্যাশনের স্রোতে গা না ভাসিয়ে তাদের পোশাকের ক্ষেত্রে একটা নিজস্ব স্টাইল বজায় রাখছেন। ফলে অনেকের কাছে তারা হয়ে উঠেছেন আইডল হিসেবে। যেমন—সঙ্গীতজ্ঞ ফিরোজা বেগমের চিরাচরিত হালকা রঙের শাড়ি, গলায় লম্বা ঝুলানো মালা, চুলটা হালকা করে আঁচড়ে খোঁপা—এ নিয়মের বাইরে সচরাচর তাকে দেখা যায় না। ফেরদৌসী রহমানের চওড়া পাড়ের শাড়ি, কপালে বড় গোল টিপ আর গলাতে লকেটসহ মালা—এ নিয়েই যেন ফেরদৌসী রহমান। আফসানা মিমির দেশীয় সুতি শাড়ি, ছোট্ট গোল টিপ, খুবই হালকা গহনা, আলতো করে বাঁধা ঘাড়খোঁপা—ব্যস্, নিজস্ব সাজে অনন্য তিনি যে কোনো অনুষ্ঠানে।
আবার সোহরাব হোসেনের চোলা পাজামার সঙ্গে পাঞ্জাবি, সৈয়দ আবদুল হাদীর হাওয়াই শার্ট কিংবা কুমার বিশ্বজিতের স্কিন টাইট টি-শার্টের সঙ্গে জিন্সের প্যান্ট—অন্য দশজনের চেয়ে তাদের নিঃসন্দেহে আলাদা করে দেয়।
কাজের ধরন এবং অফিসের পরিবেশ অনুযায়ী পোশাকেরও রকমফের হয়, জানান এমদাদ হক। যেমন—যে নারী ব্যাংকে চাকরি করে আর যে কোনো অ্যাড ফার্মে চাকরি করে তাদের পোশাকে অবশ্যই ভিন্নতা থাকবে। আবার যে ছেলেটি কোনো কলেজে শিক্ষকতা করে আর সে কিনা কোনো মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে চাকরি করে, তাদের পোশাকেও ভিন্নতা থাকা বাঞ্ছনীয়।
আবার পরিবেশ বুঝেও পোশাক পরা উচিত। পহেলা বৈশাখে শিফনের ওপর চুমকি পুঁতির কাজ করা শাড়ি যেমন বেমানান, তেমনি কোনো বিয়ের অনুষ্ঠানে মাড় ছাড়া সুতির শাড়িটিও দৃষ্টিকটু লাগে।
পোশাক নির্বাচনের ক্ষেত্রে পরিবারেরও একটা বড় ভূমিকা রয়েছে। এক্ষেত্রে পরিবারের একটা পরিচয় বা রুচি ফুটে ওঠে।
পোশাক নির্বাচনে এসব ঝামেলা থেকে মুক্তি পেতে হলে যে কেউ দেশের যে কোনো ফ্যাশন ডিজাইনারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। তারা খুব সহজেই আপনার দেহের গড়ন আর কাজের ধরন অনুযায়ী আপনার ব্যক্তিত্বের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ পোশাকের খোঁজ দেবেন। আর তারা এসব কাজ করেন অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে। কেননা তাদের লক্ষ্যই হলো দেশের মানুষের মাঝে পোশাক সম্পর্কে সচেতনতা গড়ে তোলা।
All Tips: Computer Tips, Internet Tips, Printing Tips, Health Tips, Life Tips, Household Tips, Career Tips, Earn By Internet, Phone Tips, Photography Tips, Fashion Tips, Hair Tips, Summer Tips, Travel Tips, Winter Tips etc.
All Blog: All Travel Way, Recipe BD, All Health BD, Dhaka All, Bangla Poetry, Bird sanctuary bd, Wallpaper All Free, Free Treatment Bd etc.
লাবণীও পড়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। স্নাতার সবচেয়ে কাছের বন্ধু। দুধে আলতা গায়ের রঙ, দেহের গড়ন, উচ্চতা সবই সুন্দর। চোখ বন্ধ করে এককথায় তাকে সুন্দরী বলে স্বীকার করে নেয়া যায়। কিন্তু এই লাবণী স্নাতার কাছে এলে সবসময়ই কেমন যেন নিষ্প্রভ হয়ে যায়। অথচ স্নাতার চেয়ে সবসময়ই দামি পোশাক কিংবা অলঙ্কার পরে সে। তারপরও কেন যেন সে স্নাতার মতো আকর্ষণীয় হয়ে উঠতে পারে না। দু’বান্ধবী একসঙ্গে কোথাও গেলে সবাই যেন স্নাতাকেই দেখে। কিছুতেই সে রহস্যের কোনো কূলকিনারা করতে পারে না।
আসলে লাবণীর মধ্যে একটা ভ্রান্ত ধারণা বিরাজ করে। সে মনে করে, দামি পোশাক কিংবা অলঙ্কারই একজন মানুষকে আকর্ষণীয় করে তোলে। ব্যাপারটি মোটেই তা নয়। তাহলে সবার দৃষ্টি স্নাতার দিকে চলে যেত না। কম দামি পোশাকও অনেক ক্ষেত্রে আকর্ষণীয় হতে পারে।
‘আসলে আমাদের দেশে এমন একটি ইনস্টিটিউশন গড়ে তোলা উচিত যেখানে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে একদল দক্ষ কর্মী বেরিয়ে আসবে। যারা বিভিন্ন বুটিক হাউসে নিয়োজিত থেকে ক্রেতাদের পোশাকের ব্যাপারে সচেতন করে তুলতে সাহায্য করবে। এর ফলে এদেশের মানুষ পোশাক নির্বাচনে সতর্ক হয়ে উঠবে’—কিছুটা আশা এবং কিছুটা নিরাশার সঙ্গে কথাগুলো বললেন এমদাদ হক, বাংলার মেলার কর্ণধার।
পোশাক হলো এমন একটি বিষয় যা একজন মানুষের ব্যক্তিত্ব বাড়িয়ে দিতে বা কমিয়ে দিতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ব্যক্তিত্ব বাড়বে তখনই, যখন পোশাকটি যে পরেছে তার বয়স, কর্মক্ষেত্র, দেহের গড়ন সবকিছুর সঙ্গে মিলে যাবে। আর এই পোশাকই আবার কারও ব্যক্তিত্ব কমিয়ে দেবে যদি কেউ আনারকলি সালোয়ার-কামিজ পরে গাউছিয়া মার্কেটে কেনাকাটা করতে আসে।
আমাদের দেশে একটা বিষয় খুব বেশি দেখা যায়। সেটি হলো, যখন যে পোশাকের চল আসে সব বয়সের মানুষই সে ফ্যাশনটাকে অনুসরণ করতে শুরু করে। কিন্তু পোশাকটি তাদের কতটুকু মানাচ্ছে সে ব্যাপারে কারোরই যেন খেয়াল থাকে না। ফ্যাশন এসেছে তাই এই পোশাকটি পরতে হবে, এটাই হলো বড় ব্যাপার। ফলে অন্যের কাছে নিজেকে আকর্ষণীয় করতে গিয়ে অনেক ক্ষেত্রেই অন্যের হাসির খোরাক হয়ে যান—যা কখনোই কারও কাম্য নয়।
প্রতিটি মানুষই তার নিজস্ব বৈশিষ্ট্যে অনন্য। দেহের গড়ন, ব্যক্তিত্ব—সবই একজনের থেকে অন্যজনের ভিন্ন হয়। সুতরাং পোশাক নির্বাচনেও প্রতিটি মানুষের মধ্যে ভিন্নতা থাকবে সেটাই স্বাভাবিক। জেনে নিন কোন গড়নে কেমন পোশাক মানানসই হবে।
স্থূলকায়াদের জন্য
যারা স্থূলকায় তাদের পোশাক নির্বাচন করতে গিয়ে প্রথমেই কাপড়টা দেখে নিতে হবে। সুতির পোশাক পরলেও একটু সফট টাইপের কাপড় বেছে নেয়া ভালো। যেমন—লিলেন টাইপ কাপড়। এতে করে তাদের দেহের স্থূলতা কিছুটা হলেও কম দেখাবে। মাড় দেয়া কাপড় না পরাই ভালো। জামদানি পরলেও মাড় ছাড়া পরতে হবে। বড় বড় ছাপ, গাঢ় রঙের কাপড় এড়িয়ে যান। জ্যামিতিক নকশার পোশাক মোটাদের বেশি মানায়। সালোয়ার-কামিজ পরলে জামার লম্বা হবে হাঁটু পর্যন্ত আর শেপটি হবে ্তুঅ্থ কাটের। আর পোশাকটি যেন আঁটসাঁট না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। কারণ এতে তাদের স্থূলতা আরও বেশি চোখে পড়বে।
হালকা গড়নের যারা
যারা রোগা এবং লম্বা তারা যে কোনো কিছু পরতে পারে। তবে কাপড়ের নকশার দিকে তাদের একটু লক্ষ্য রাখতে হবে, যেন তাদের অতিরিক্ত লম্বা আর শুকনো না লাগে। যেমন তারা পরতে পারে বড় বড় ফ্লোরাল প্রিন্ট, জ্যামিতিক নকশার পোশাক। লম্বা স্ট্রাইপ দেয়া কাপড় না পরাই ভালো। সালোয়ার-কামিজের ক্ষেত্রে কুর্তা, চুড়িদার পরা যেতে পারে।
মাঝারি গড়নের মেয়েদের ক্ষেত্রে
যারা এই শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত তাদের তো পোয়াবারো। যে কোনো প্রিন্টের যে কোন পোশাক তারা অনায়াসে পরতে পারে। পোশাক নির্বাচনে খুব একটা বাছবিচার তাদের করতে হয় না।
ছেলেদের বসন
আসলে আমাদের দেশের ছেলেরা দু’ধরনের পোশাক পরে থাকে। অফিসিয়াল আর ক্যাজুয়াল। অফিসিয়াল ব্যাপারটিকে আবার দু’ভাগে ভাগ করা যায়। ছাত্র আর চাকরিজীবী। তবে দু’ভাগেরই একটি কমন ব্যাপার হলো, উভয়কেই তাদের প্রতিষ্ঠানের নিয়মনীতি অনুযায়ী পোশাক পরতে হয়। এর বাইরে তারা যে পোশাক পরে সেটিই হলো ক্যাজুয়াল পোশাক।
ছেলেদের ক্যাজুয়াল পোশাক সম্পর্কে এমদাদ হক বলেন, অফিসের বাইরে ছেলেরা যে কোনো আরামদায়ক পোশাক পরতে পারে। যেমন—ফতুয়া, হাওয়াই শার্ট ইত্যাদি। অফিসের বাইরে শার্ট ইন না করে পরাই ভালো। আজকাল বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ছেলেরা বিদেশি পোশাকের পরিবর্তে পাঞ্জাবি-পাজামা পরছে। এটা একটা খুবই ভালো লক্ষণ বলে জানালেন এমদাদ হক।
আমাদের দেশের মিডিয়া জগতের দিকে তাকালে আমরা এমন ক’জন ব্যক্তিত্ব পাব, যারা চলমান পোশাকের ফ্যাশনের স্রোতে গা না ভাসিয়ে তাদের পোশাকের ক্ষেত্রে একটা নিজস্ব স্টাইল বজায় রাখছেন। ফলে অনেকের কাছে তারা হয়ে উঠেছেন আইডল হিসেবে। যেমন—সঙ্গীতজ্ঞ ফিরোজা বেগমের চিরাচরিত হালকা রঙের শাড়ি, গলায় লম্বা ঝুলানো মালা, চুলটা হালকা করে আঁচড়ে খোঁপা—এ নিয়মের বাইরে সচরাচর তাকে দেখা যায় না। ফেরদৌসী রহমানের চওড়া পাড়ের শাড়ি, কপালে বড় গোল টিপ আর গলাতে লকেটসহ মালা—এ নিয়েই যেন ফেরদৌসী রহমান। আফসানা মিমির দেশীয় সুতি শাড়ি, ছোট্ট গোল টিপ, খুবই হালকা গহনা, আলতো করে বাঁধা ঘাড়খোঁপা—ব্যস্, নিজস্ব সাজে অনন্য তিনি যে কোনো অনুষ্ঠানে।
আবার সোহরাব হোসেনের চোলা পাজামার সঙ্গে পাঞ্জাবি, সৈয়দ আবদুল হাদীর হাওয়াই শার্ট কিংবা কুমার বিশ্বজিতের স্কিন টাইট টি-শার্টের সঙ্গে জিন্সের প্যান্ট—অন্য দশজনের চেয়ে তাদের নিঃসন্দেহে আলাদা করে দেয়।
কাজের ধরন এবং অফিসের পরিবেশ অনুযায়ী পোশাকেরও রকমফের হয়, জানান এমদাদ হক। যেমন—যে নারী ব্যাংকে চাকরি করে আর যে কোনো অ্যাড ফার্মে চাকরি করে তাদের পোশাকে অবশ্যই ভিন্নতা থাকবে। আবার যে ছেলেটি কোনো কলেজে শিক্ষকতা করে আর সে কিনা কোনো মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে চাকরি করে, তাদের পোশাকেও ভিন্নতা থাকা বাঞ্ছনীয়।
আবার পরিবেশ বুঝেও পোশাক পরা উচিত। পহেলা বৈশাখে শিফনের ওপর চুমকি পুঁতির কাজ করা শাড়ি যেমন বেমানান, তেমনি কোনো বিয়ের অনুষ্ঠানে মাড় ছাড়া সুতির শাড়িটিও দৃষ্টিকটু লাগে।
পোশাক নির্বাচনের ক্ষেত্রে পরিবারেরও একটা বড় ভূমিকা রয়েছে। এক্ষেত্রে পরিবারের একটা পরিচয় বা রুচি ফুটে ওঠে।
পোশাক নির্বাচনে এসব ঝামেলা থেকে মুক্তি পেতে হলে যে কেউ দেশের যে কোনো ফ্যাশন ডিজাইনারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। তারা খুব সহজেই আপনার দেহের গড়ন আর কাজের ধরন অনুযায়ী আপনার ব্যক্তিত্বের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ পোশাকের খোঁজ দেবেন। আর তারা এসব কাজ করেন অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে। কেননা তাদের লক্ষ্যই হলো দেশের মানুষের মাঝে পোশাক সম্পর্কে সচেতনতা গড়ে তোলা।
All Tips: Computer Tips, Internet Tips, Printing Tips, Health Tips, Life Tips, Household Tips, Career Tips, Earn By Internet, Phone Tips, Photography Tips, Fashion Tips, Hair Tips, Summer Tips, Travel Tips, Winter Tips etc.
All Blog: All Travel Way, Recipe BD, All Health BD, Dhaka All, Bangla Poetry, Bird sanctuary bd, Wallpaper All Free, Free Treatment Bd etc.
No comments:
Post a Comment