Search This Blog

TIP'S CETAGORY WITH LANGUAGE

Tips 4 pc

Update Software

Saturday, September 4, 2010

ঈদের খাবার ও ডায়াবেটিস রোগী

ঈদের খাবার ও ডায়াবেটিস রোগী
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটির এন্ডোক্রাইন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. ফরিদউদ্দিন বলেন, ঈদে মিষ্টিজাতীয় খাবারের প্রাধান্য থাকবেই। কিন্তু ডায়াবেটিক রোগীদের এড়িয়ে চলতে হয় বা কম খেতে হয় ওই মিষ্টিজাতীয় খাবারই। তাই ডায়াবেটিক রোগীদের ঈদের বেশি সাবধান থাকতে হবে। খাবার খেতে হবে হিসাব করে। এমনিতেই ডায়াবেটিস আক্রান্তদের বারবার ক্ষুধা পায়। নিষেধ বলে স্বভাবতই তারা মিষ্টি খাবারের প্রতি আগ্রহী থাকে। ঈদের মিষ্টি খাবার ও পোলাও-বিরিয়ানি খাবার ফলে তাদের ব্লাড সুগার অনেক বেড়ে গিয়ে ক্ষতির কারণ হতে পারে।

* যাঁদের ব্লাড সুগার শুধু ডায়েট কন্ট্রোল ও ব্যায়ামের মাধ্যমে স্বাভাবিক আছে তাঁরা ঈদের খাবার খেতে পারেন তবে সে ক্ষেত্রে ঈদের দিন সকালে ও বিকেলে ৪০ মিনিট করে হাঁটুন। মসজিদে, কোনো আত্মীয় ও বন্ধুর বাসায় হেঁটে যান।
* যাঁদের ওষুধ খেয়ে ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে হয় তাঁরা ওষুধের ডোজ একটু বাড়িয়ে নিতে পারেন। বিশেষ করে সকালে সেমাই-পায়েস খাওয়ার জন্য। তবে দুপুরে এক কাপের বেশি ভাত, পোলাও বা বিরিয়ানি খাবেন না। মনে রাখবেন, ডায়াবেটিসে যতটা না সুগারের সমস্যা তার চেয়েও বেশি লিপিড বা চর্বির সমস্যা। তাই অবশ্যই তৈলাক্ত মাংস, গরুর মগজ, চিংড়ির মাথা ইত্যাদি খাবেন না।
* রাতে অবশ্যই স্বাভাবিক ভাত, রুটি ও সবজি খাবেন। মনে রাখবেন দুই বেলাই ভারি খাবার আপনার জন্য বরাদ্দ নয়।
* যাঁদের ইনসুলিন নিয়ে ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে হয় তাঁরা মিষ্টি খাবার একান্তই যদি খেতে চান চিনির পরিবর্তে স্যাকারিন বা এ জাতীয় কিছু ব্যবহার করুন। সবচেয়ে ভালো হয় না খেলে। মাংসের তরকারি, রেজালা, কাবাব ইত্যাদি খেতে পারেন; তবে পরিমাণে অল্প এবং ভাতের সঙ্গে। পোলাও ও বিরিয়ানি পরিহার করাই ভালো হবে। তার পরও ইনসুলিনের ডোজ দুই ইউনিট বাড়িয়ে নিতে পারেন যদি আত্মীয় বা বন্ধুর অনুরোধে একটু বেশি খাওয়া হয়েই যায়।
* যাঁদের ডায়াবেটিসের কারণে নেফ্রোপ্যাথি (কিডনির সমস্যা), রেটিনোপ্যাথি (চোখের সমস্যা) ইত্যাদি আছে, তাঁরা অবশ্যই ঈদের স্পেশাল মেনু পরিহার করবেন, স্বাভাবিক দিনের মতো খাবার খাবেন।

No comments:

Post a Comment

Tips Of All Sorts